বরিশালের বাবুগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মসজিদ হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩ জন মুসূল্লী আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভুতের দিয়া গ্রামের কালুর বাড়ি জামে মসজিদে। খোঁজনিয়ে জানাগেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভূতের দিয়া গ্রামের কালুর বাড়ি জামে মসজিদে শনিবার শবে কদরের নামাজ পরার সময় স্থানীয় বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে মিজান ও জাহাঙ্গীর ভূঁইয়ার ছেলে আসিফ’র সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে আঃ কাদের বেপারীর ছেলে মোঃ তারেক হোসেন’র কথা কাঁটাকাঁটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় রেশ ধরে আসিফ ও মিজানের এর পরিবারের লোকজন মসজিদ থেকে বেড়িয়ে যান। এক কিছুক্ষণ পর আসিফে’র পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া ও মিজানের পিতা মোঃ বাবুল ভূইয়া এবং তাদের সাথে মোঃ ইস্কান্দার ভূঁইয়া ও রত্তন আলী ভূঁইয়া,এনায়েত হোসেন ভূঁইয়া সহ ১২/১২ জনের একটি দল রাত ৯ টার দিকে মসজিদে নামাজরত মুসূল্লীদের উপর বাহির থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং মসজিদের ইমাম সহ মুসূল্লীদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন আঃ কাদের বেপারী,মোঃ তারেক ও আরিফ। প্রতিবাদ করলে আঃ কাদের বেপারীর বসত ঘরেও হামলা ও ভাংচুর করেন। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাবুগঞ্জ থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ দিবাকর চন্দ্র দাস ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম বেপারী ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতির শান্ত করেন। ওসি বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মসজিদে হামলার ঘটনাটি দুঃখ জনক,এটি ক্ষমার অযোগ্য। এ ঘটনায় স্থানীয় সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন মসজিদে হামলা করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি, উত্তেজিত লোকজন হয়তো কিছু ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে।