সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মহিলা যুবলীগের সভাপতি নাজমা খাতুনের জায়গা জমি দখল নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল আমিন ইসলাম গতকাল রবিবার সকাল ১০ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আল আমিন ইসলাম বলেন, আমার নানার বাড়ির এলাকা আশাশুনি থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নের নাজমা পারভিনদের সঙ্গে আমার মামাদের পরিবারের জমিসংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি বহু আগ থেকে আমি জানি। তবে বাবার বাড়ির সম্পত্তির ব্যাপারে আমার মায়ের অনাগ্রহের কারণে তাদের পারিবারিক বিষয়ে আমি হস্তক্ষেপ কখনও করেনি। আমি বিগত ৪ বছর যাবত মামার বাড়িতেও যায়নি। গত ৩১ মে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি নাজমা পারভিনের সংবাদ সম্মেলনের খবর জানতে পেরে আমি আমার মামাদের কাছে ফোন করলে তারা জানায়, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নাজমা খাতুন আমার মামাদের পরিবারের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে উৎখাত করতে দীর্ঘদিন যাবত হুমকি ধামকিসহ মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে। ইতঃপূর্বে নাজমা খাতুনরা আশাশুনি থানায় এ সকল বিষয় নিয়ে ১ টি সাধারন ডায়েরী করে তা মিথ্যা প্রমানিত হয়। অথচ তিনি আবার উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যে বিষয়ের সাথে আমার মোটেও সম্পৃক্ত নেই। এ ছাড়া ওই সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে ছাত্র শিবিরের সাথে সমপৃক্ততার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সমপুর্ন্ন মিথ্যা। ২০০৩ সালে আমি স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি ও ২০০৬ সালে মহারাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। আমি কোন দিনেও ছাত্র শিবিরের সাথে জড়িত ছিলাম না। তিনি যে মোবাইল ফোনে হুমকির বিষয়টি তুলে ধরেছে সেটি তদন্ত করলে সকল রহস্য উৎঘাটন হবে। আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই মিথ্যা, ভিক্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমি এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ সকল কর্মকান্ডের তদন্ত দাবি করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াছাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক কুমার বৈদ্য, দপ্তর সম্পাদক একরামুল হক, ক্রীড়া সম্পাদক শুভ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাইমিন সৌরভ, মহারাজপুর ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ মিলন সহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।