ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত যুবক ফকরুল হাসানের পা অপারেশন করে কেটে ফেলা হয়েছে। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত বুধবার অপারেশন করে তার বাম পা ঊরু থেকে কেটে ফেলা হয়। হামলার ঘটনায় ফকরুলের মা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের নিধিয়ারচর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে ফকরুল হাসান গত বছর গফরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করে বাড়িতে কৃষি কাজ করতেন। বাদল মিয়ার সাথে তার ভাই এখলাছ উদ্দিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে পূর্বে বিচার সালিশ হলেও সমাধান হয়নি।
গত ২৫মে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে আবদুল বারী কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সামনে এজমালি (যৌথ মালিকানা) কাঁঠাল গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়ার সময় ফকরুল হাসানকে তার চাচা এখলাছ উদ্দিন, চাচাত ভাই শাকিল মিয়া ও শরিফুল রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্বজনরা প্রতিবেশীদের সহায়তায় ফকরুল হাসানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফকরুল হাসানকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাম পায়ের আঘাত জনিত কারণে ইনফেকশন হয়ে পড়ায় গত ২৯ মে, বুধবার অপারেশন করে চিকিৎসকরা ফকরুল হাসানের বাম পা ঊরু থেকে কেটে ফেলেন।
এ ঘটনায় ফকরুল হাসানের মা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আহত ফকরুল হাসানের প্রবাসী ভাই আরিফ আহমেদ বলেন, মামলায় প্রধান আসামি শাকিল মিয়া সৌদি আরবে থাকে। ছুটিতে বাড়ি এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন গোপনে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
গফরগাঁও থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।