আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগরের অধিকাংশ ধনী-দরিদ্র পরিবারে ঈদের আনন্দ ও আমেজ বইছে। এসব পরিবারের সদস্যরা নতুন জামা-কাপড় কিনে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন। সেই সঙ্গে তাদের বাড়িতে বাড়িতে আয়োজন করা হচ্ছে মানসম্মত এবং সুস্বাদু খাবার। কিন্তু উপজেলার নাজিরগঞ্জ এবং সাগরকান্দী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের দশ গ্রামে নেই ঈদের আমেজ ও ঈদ আনন্দ। এ দশটি গ্রাম হলো চরকেষ্টপুর, চরপদ্মা, চরখাপুর, চরশ্রীপুর, চরচন্ডিপুর, রামকান্তপুর, চরখলিলপুর, চরসদিরাজপুর, চরবলরামপুর ও হুগলাডাঙ্গী। পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে অবস্থিত ওই সব গ্রামের মানুষ অত্যন্ত অভাবী। এসব গ্রামে সরকারি বা বে-সরকারিভাবে তেমন কোন ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়না। বিশেষ করে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের চরকেষ্টপুর, চরপদ্মা ও চরখাপুর গ্রাম পদ্মা নদীর দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে কারো চোখ যায়না। সেকারণে তারা সব সময় সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আর কারণে চরাঞ্চলের ওই দশ গ্রামের মানুষ কখনই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। এ বছর প্রচ- খরার কারণে চরাঞ্চলের জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসল তেমন ভাল হয়নি। ফলে প্রতিটি পরিবার অভাব-অনটনের মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছেন। সেকারণে ওই সকল পরিবার আসন্ন ঈদে নতুন জামা-কাপড় কেনাতো দূরের কথা পরিবারপরিজনের জন্য দু’মুঠো ভাল খাবারের ব্যবস্থাও করতে পারছেন না। চরখলিলপুর গ্রামের আবদুল মজিদ জানান, চরাঞ্চলের বেশিভাগ মানুষ অভাবী, তারপর এ বছর প্রচ- খরায় ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে তাদের মনে ঈদ আনন্দ নেই। এ ব্যাপারে নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন পদ্মা নদীর কারণে ওই সকল গ্রাম মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ওই সকল পরিবারকে সাহায্য করা সম্ভব হয়না।