জামালপুরের মেলান্দহে ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডির চাউল বিতরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বঞ্চিত হচ্ছেন (মেলান্দহ পৌরসভা ব্যতিত) ৫৩ হাজার ৯শ’ ৬৮ হতদরিদ্রজন।
জানাগেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে ১১টি ইউনিয়নের দুরমুঠের ৬৪.৯৪ মে.টন, কুলিয়ার ৭২.৩০০, নাংলার ৬৮.২০০, নয়ানগর ৬৩.৯০০, আদ্রা ৬৪.৭৪০, চরবানিপাকুরিয়া ৯৪.১২৫, ফুলকোচা ৭৫.২৪০, শ্যামপুর ৪৪.৫৩০, মাহমুদপুর ১১৫.৬৫০, ঘোষেরপাড়া ১০৪.০৪০, ঝাউগড়া ৮৮.০৬৫ মে.টন এবং মেলান্দহ পৌরসভার ৪৬.২১৫, হাজরাবাড়ি পৌরসভা ২০.১০০ মে.টনসহ সর্বমোট ৮৫৫.৭৩৫ মে:টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতি জনকে ১৫ কেজি হিসেবে ৫৭ হাজার ৪৯ জন হতদরিদ্র সুবিধা ভোগ করার কথা।
ঈদের আগেই বরাদ্দকৃত চাউল গুদাম থেকে উত্তোলন পূর্বক হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের তাগিদ থাকলেও মেলান্দহ পৌরসভা ছাড়া অন্য কোথাও চাউল বিতরণ করা হয় নি।
এ ব্যাপারে চরবানিপাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ভুট্রো জানান-অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভিজিএফ’র বিষয়ে কড়াকড়ি থাকায় আমরা এখনো তালিকা চুড়ান্ত করতে পারি নি। ঈদের আগে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা যাবে কিনা? এমন প্রশ্নে মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং দুরমুঠ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরী মাস্টার এক কথায় জবাব দিয়েছেন বিতরণ সম্ভব হবে না। ুফুলকোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বাবু জানান-ঈদের আগে তালিকা প্রস্তুতের বিষয় তো আছেই। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ (বৃষ্টির) কারণে গুদাম থেকে মাল উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে বলেই ঈদের আগে চাউল বিতরণ করা দুরহ হয়ে পড়েছে।
ইউএনও তামিম আল ইয়ামীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান-ইতোমধ্যেই মেলান্দহ পৌরসভার ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ঈদের আগে দু’একটা ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান জানান-বর্তমানে ৪/৫ মাসের আটকে পড়া ভিজিডির চাউল বিতরণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনিয়মের পর্যাপ্ত অভিযোগ আছে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ নিয়ে। এ ছাড়া কোন রিলিফ অফিসারও কর্মস্থলে থাকছেন না। মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করেই সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে অনিয়ম রোধ করতে চাই। যাতে একমাত্র হতদরিদ্ররাই চাউলগুলো পেতে পারেন। এজন্য ঈদের পরে চাউল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।