ভোলার তজুমদ্দিনে কোষ্টগার্ড হরিণ শিকারীকে ছেড়ে দিয়ে ২৫ কেজি মাংস আটক করেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্লুইজঘাট এলাকা থেকে একটি নৌকাসহ ৪শিকারীকে হরিণের মাংসসহ আটকের পর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর না করে মাঝ নদীতে নিয়ে যায়। দিনভর নাটকের পর ৪জনকে ছেড়ে দিয়ে মাংস নিয়ে বিকেলে গোপনে তজুমদ্দিনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত লালমোহনের উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হন। পরে তিনি ওই মাংস তজুমদ্দিনেই ফেরত পাঠান।
তজুমদ্দিনের শশীগঞ্জ বিটের বন কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক জানান, বন বিভাগ ও কোষ্টগার্ডের কাছে হরিণের মাংস বিষয়ে গোপন সংবাদ আসে। বেলা সাড়ে ১০টায় শশীগঞ্জ স্লুইজঘাট এলাকায় চরকলাতলীর বাদশা মাঝির নৌকায় মাংসসহ ৪জনকে পাওয়া যায়। তজুমদ্দিনের কোষ্টগার্ড বন বিভাগকে পাশ কাটিয়ে ৪জনসহ নৌকাটি মাঝ নদীতে নিয়ে যায়। পরে বিকাল ৪ টায় শুধুমাত্র হরিণের মাংস গ্রহণ করতে বললে অপারগতা প্রকাশ করি। সুত্র জানায়, মনজু, মনির ও নাজমুলসহ চারজন ওই সময় নৌকায় ছিলো। এ ছাড়া কলাতলীর কালাম কসাই, আবদুল আজিজ, শরীফ বাতান, বাবর মাঝি, মাকসুদ, কালু ও রিদু মিলে হরিণ শিকার করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৪০ কেজি হরিণের মাংস ছিলো ওই নৌকাতে। তজুমদ্দিন কোষ্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানান, তজুমদ্দিনের সোনারচর এলাকায় নৌকাসহ পরিত্যক্ত ২৫কেজি হরিণের মাংস পাওয়া গেছে। তা উদ্ধার করে নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে হাজির করা হয়। শশীগঞ্জ স্লুইজঘাট এলাকা থেকে আটক হওয়া নৌকা, শিকারী ও মাংস সোনারচরে পরিত্যক্ত কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দিয়ে সরকারী নম্বরটি বন্ধ করে রাখেন। তজুমদ্দিনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত লালমোহন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, কোষ্টগার্ড জানিয়েছে নৌকা থেকে লাফিয়ে লোক পালিয়ে গেছে। প্রায় ১০/১৫ কেজি মাংস হবে তা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তজুমদ্দিনেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।