ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে হাসি খুশি। ঈদ মানে পরিবার পরিজনদের সাথে সময় কাটানো। কিন্তু এ জেলায় নেই কোন উল্লেখযোগ্য বিনোদনমূলক কেন্দ্র। তারপর ও থেমে নেই বিনোদন প্রেমীদের আনন্দ। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ঈদ উদযাপন করল লক্ষ্মীপুরবাসী। জেলায় উল্লেখযোগ্য বিনোদনমূলক কেন্দ্র না থাকার পরও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুর পৌর শিশুপার্ক।
ঘুরে দেখা গেছে, পতিকুল পরিবেশে পরিবার পরিজনদের নিয়ে অনেকে ছুটে এসেছেন শিশুপার্কে। অপরদিকে ঈদ উপলক্ষে নবরূপে পৌর শিশুপার্ক সেজেছে। এ দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশিশু পার্কে প্রবেশপথসহ বিভিন্ন রাইডারে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন দর্শনাথীরা।
এ বিনোদন কেন্দ্রে সব বয়সী নারী, পুরুষ আর শিশুদের পদচারণায়,হৈ-হুল্লোড় আর চেঁচামেচিতে ঈদের বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে। বিশেষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা মানুষের উপস্থিতিতে শিশুপার্ক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোকজনের সমাগমে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করেছে এ সকল কেন্দ্রে। কিন্তু সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও সিংহভাগ দখল করে রাখে শিশু,যুবক ও নারীরা। মা-বাবার হাত ধরে,কেউবা ভাই-বোন,আত্মীয় স্বজনের হাত ধরে ঘুরছে শিশু পার্কে আবার কেউ নৌকা ভ্রমনও করেছে দলবেধে।
আবার অনেকে বসে খোশগল্পে মেতে উঠছেন শিশু পার্ক ক্যান্টিনে।শিশুপার্কে দেখা গেছে, শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাচ্ছেন আনন্দের রাজ্যে। কথা হয় কলেজ ছাত্র হারুনুর রশিদ, কামরুল ইসলাম, ঈদেরদিন তারা বেরিয়ে পড়েছেন ঘুরতে। প্রাথমিক শিক্ষক রাবেয়া বেগম জানান,তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরি করেন। শিশুপার্কে লোক গিজ গিজ করলেও তার কাছে ভালো লাগছে।
কলেজ ছাত্রী আকলিমা ও উম্মে ছালমা বলেন,ঈদের আনন্দের পাশাপাশি বাড়তি আনন্দের জন্য শিশু পার্কে আশা। লক্ষ্মীপুর শিশুপার্ক সূত্রে জানাগেছে,দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশের জন্য বিশ টাকার টিকেট ক্রয় করতে হয়। এ ছাড়া হেলিকপ্টার ৪০ টাকা,ট্রেন ৩০ টাকা,নাগর দোলা ৪০ টাকা,গোড়ার গাড়ি গাড়ী ৫০ টাকা,বাম্পার কার ৫০ টাকা,উড়ন্ত চেয়ার ৪০ টাকা করে টিকেট বিক্রি করা হয়। সূত্রো আরো জানায়,২০১২ সালে ২৪ মার্চ দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জমান শিশুপার্কটি উদ্বোধন করেন।২০১১ সালের ৩ মে লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়রের উদ্যোগে বাঞ্চানগর মৌজার প্রায় ৫ একর জমির উপর শিশুপার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিশুপার্কটির ইজারাদার মনির হোসেন জানান, গত বছরের এ বছর দর্শনার্থীদের ভীড় অনেক বেড়েছে। আজ বুধবার ঈদের দিনে ৮ হাজার দর্শনার্থী শিশুপার্কে প্রবেশ করে।
লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র আবু তাহের জানান,লক্ষ্মীপুর জেলায় বিনোদনের জন্য কোন ব্যবস্থা ছিল না। তাই শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্যই রহমতখালীর খালের ভিতরে মনোরম পরিবেশে শিশুপার্কটি নির্মাণের উদ্যোগ নেই। বর্তমানে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশেষ করে ঈদের দিনসহ বিভিন্ন দিবসে নানা বয়সের মানুষ এখানে এসে আনন্দ উপভোগ করে।