নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পূর্ব কাবিলপুর গ্রামের সুয়ানি বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর, লটপাট ও এলোপাথাড়ি কুপিয়ে, পিটিয়ে ব্যাপক তান্ডব লিলা চালিয়ে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১০ জনকে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৪ জুন রাতে।
আহতদের মধ্যে ইকবাল হোসেন (২৫) উজ্জ্বল (১৭),হৃদয় (১৫), পিয়াস (১২),সাজেদা আক্তার(৪০),আবদুল গফুর (৬৫),আবুল হাশেম (৫৫),সাজেদা আক্তার রিমা (৩৯) পুলিশ উদ্ধার করে সেনবাগ, নোয়াখালী ও ফেনী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে ইকবাল হোসেন, উজ্জ্বল ,হৃদয়, পিায়াসের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জানাগেছে,মঙ্গলবার পূর্ব কাবিলপুরের সুয়ানি বাড়ির আবদুর রহমানের ছেলে ফাইম বাড়িতে পটকা বোমা বিস্ফোরণ ঘটনালে একই বাড়ির চাচাতো ভাই আবদুল গফুরের ছেলে ইকবাল নিষেধ করে ফাইমকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে। এর জেরে যার একপর্যায়ে ফাইমের পক্ষ হয়েএকই এলাকার তুষার ও আবদুর রহিম মোল্লা নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র লাঠি-সোঠা নিয়ে ওই বাড়ি আবুল হাশেম,সালা উদ্দিন দুলাল ও আবদুল গফুরের বসতঘরে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বসতঘরের বেড়া ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক লুটপাট চালায়।এসময় প্রতিপক্ষের হামলা থেকে পিতা-মাতা ও ভাই-বোনদের বাঁচানোর জন্য ইকবাল হোসেন, উজ্জ্বল, হৃদয়, পিয়াস এগিয়ে এলে ফাইম,তুষার,আবদুর রহিম মোল্লা,সজিবের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক তাদর বসতঘরে ডুকে তাদেরকে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। এ সময় তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে চাইলে তাদেরকে ঘেরাও করে রাখে হাসপাতালে যেতে বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টারদিকে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ওসি’র দায়িত্বে থাকা (ওসি-তদন্ত) আলী হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে, এখনো কোন মামলা হয়নি বলে জানান।