খুলনার পাইকগাছায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে ৪২ দিন পর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রযুক্তি মাধ্যমে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিষ মন্ডল ও অখিল মন্ডল গত ২ জুন রাজধানী ঢাকার ভাটরা থানা এলাকার একটি বাসা থেকে স্কুল ছাত্রী (১৫)কে উদ্ধার করে অপহরণকারী ফিরোজ গাজী (২৫) কে গ্রেফতার করে। এর আগে পুলিশ অপহরণকারীর পিতা ও চাচাতো ভাইকে আটক করে।
পুলিশ ৩ জুন ভিকটিমের শারিরিক পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে ও ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য খুলনা নারী শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠান। পরিবারের অভিযোগ, গত ২১ এপ্রিল রাতে উপজেলার হরিঢালী ইউপির সোনাতনকাঠির কেষ্টপদ দত্তের ৯ম শ্রেণীতে পড়-য়া মেয়েকে একই গ্রামের মজু গাজীর ছেলে ফিরোজ গাজী অপহরণ করে নিয়ে যায়। পিতা কেষ্টপদ দত্তের অভিযোগ হরিঢালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে ফিরোজ তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় ফিরোজের পরিবারকে জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে ঐ ছাত্রী স্থানীয় শিক্ষক রনজিত বাবুর কাছ থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ীতে ফেরার পথে ফিরোজ তার বন্ধুদের সহয়তায় তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে এমন অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে প্রথমে থানায় জিডি এবং পরে ২৪ এপ্রিল ফিরোজ গাজীকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের মামলা করে। যার নং-২৮। অপহরণ মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশ এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ফিরোজ গাজী এবং তার পিতা ও চাচাতো ভাইকে আটক করে জেল আদালতে পাঠিয়েছে। অপহরণ ঘটনার পর পুলিশ বহু খোজাখুজির পর শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে ভিকটিমের উদ্ধার সহ অপহরণকারীকে আটকের ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার সহ এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও অপহরণকারীর গ্রেফতারের কথা জানিয়ে ওসি এমদাদুল হক শেখ বলেন, ভিকটিমের ফরেনসিক পরীক্ষা ও ২২ধারায় জবানবন্দীর জন্য নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।