ফেঞ্চুগঞ্জের পলাশ বিশ্বকাপ ক্রিকেট কভার করতে ইংল্যান্ডে গেছেন। পুরো নাম মোঃ মহিউদ্দিন পলাশ। বাংলাদেশের অন্যতম সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক দৈনিক মানবকন্ঠের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন পলাশ শনিবার (৮ জুন) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছোট ভাই বিলাশ।
মোঃ মহিউদ্দিন পলাশের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মরহুম মনিরউদ্দিন আহমেদ (মনিয়া মিয়া)। মাতা মুজুবুন্নেসা। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জে স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে আমাদের এ প্রতিবেদককে পলাশ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কিছু কাজের কারণে তিনি এবার শুরু থেকেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট কভার করতে যেতে পারেননি। ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশ দল যতবার ইংল্যান্ড গিয়েছে প্রতিবারই তিনি (পলাশ) একজন ক্রীড়া প্রতিবেদক হিসেবে ইংল্যান্ড গিয়েছেন। একজন দক্ষ ক্রীড়া প্রতিবেদক হিসেবে পলাশ আরো জানান, ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ দলের ইংল্যান্ড সফর এবং অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণে তিন জাতির টুর্নামেন্ট, ২০০৯ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১০ সালে স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কভার করতে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকও কভার করেছিলেন পলাশ। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ ক্রিকেট কভার করে দেশে ফেরার পথেও কিছুদিন লন্ডনে অবস্থান করেছিলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক প্রথমের সাক্ষী হয়ে আছেন মোঃ মহিউদ্দিন পলাশ। সাংবাদিকতার পাশাপাশি পলাশ সাংবাদিকদের দাবী দাওয়া আদায়েও সোচ্চার। তিনি বর্তমানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য। ২০০৯ সালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশনে (বিএসপিএ) বিভিন্ন মেয়াদে কার্যনির্বাহী কমিটিতেও ছিলেন।
অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে বেশ আশাবাদী পলাশ। এক প্রতিক্রিয়ায় পলাশ জানান, ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলে আসছে। কিন্তু কখনই শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখেনি। এবার সেই দু:সাহস দেখিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের এই আওয়াজ কিন্তু বিশ্ব পরিমন্ডলের ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞদের নজরে আসেনি। তারা খুব একটা গণনা করেননি। কিন্তু বাংলাদেশ যে আওয়াজ তুলেছে তাতো আর এমনি এমনি তুলেনি। নিজেদের শক্তি সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল হয়ে তবেই ঘোষণা দিয়েছে। কেন সেই ঘোষণা দিয়েছে তা প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ইনিংস শেষে বুঝিয়ে দিয়েছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছে সেখানে বিরাট শক্তি হয়ে কাজ করছে ব্যাটিং লাইন আপ। যাকে বলা যায় ম্যারাথন ব্যাটিং লাইন। এক থেকে নয় পর্যন্ত। এমনকি দশে নামা মাশরাফির হাতও বেশ চলে। শুধুমাত্র মোস্তাফিজই আতুড়ে! এমন লম্বা ব্যাটিং লাইন এবারের আসরে আর কোন দলেরই ্েনই। এমন দলের পক্ষে ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে তিনশ রান করাটাই স্বাভাবিক। না করাটাই অস্বাভাবিক। আয়ারল্যান্ডে তিন জাতির আসরে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন যে আস্তার পরিচয় দিয়েছিল, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে সেখানে খানিকটা ছেদ পড়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবার ফিরেছে স্বরূপে।