আশাশুনিতে একই দিনে ২ গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। রোববার সকালে উপজেলার শ্রীউলা ও সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আশাশুনি সদরের সোদকনা গ্রামের বাবু গাজীর পুত্র আলমগীর হোসেন কেনা কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামে ব্যবসায়িক কাজে যাতয়াতের সুযোগে পরস্ত্রী নুরুন্নাহার (৩৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ৫/৬ মাস পূর্বে নুরুন্নাহার তার দু’ সন্তান ফেলে রেখে কেনার সাথে (৩য় স্বামী হিসাবে) বিয়ে করে। কেনা দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে তাকে ঘরে তোলে। এনিয়ে সংসারে গোলযোগ ছিল। শেষমেষ ১ম স্ত্রী নমনীয় হলে তারা একমাস হলো একসাথে ঘর সংসার করছিল। রোববার সকালে স্বামী বাড়ি থেকে ব্যবসার মালামাল কিনতে চলে যায়। এ সময় নুরুন্নাহার বাড়ির অন্য একঘরে গিয়ে সকালে সাড়ে ৯ টার দিকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস আটকে আত্মহত্যা করে। এসআই খবির উদ্দিন সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন।
অপরদিকে শ্রীউলা ইউনিয়নের পুঁইজালা গ্রামের শ্যামল মিস্ত্রীর স্ত্রী সরস্বতি মিস্ত্রী (২৫) রোববার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নিজ গৃহে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। পরকীয়াসহ বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এনিয়ে রোববার সকালে স্বামী তাকে বেদম মারপিট করে ঘরে রেখে চলে যায়। এ সময় সে রাগ ও অভিমানে বিষপান করে বলে স্থানীয়রা জানান। এসআই মামুনুর রশিদ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেন।