বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি শাখা থেকে নিবন্ধনব্যতিত। সমবায় অফিসের নিবন্ধনকৃত সমিতি গঠনকরে কথিত এনজিওর নামে চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। এসব সমিতি থেকে ঋণ গ্রহনকরে এলাকার সাধার মানুষেরা হচ্ছেন সর্বশান্ত। অনেকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন; কয়েকজন আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছেন।
অনেককে ঋনগ্রহনের সময় ওই ভূঁয়া এনজিওর মালিককে ব্যাংকের ফাঁকা চেকের পাতায় স্বাক্ষরকরে জমা দিতে হয়। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋনেরসুদ আসল পরিশোধে ব্যার্থ হন তাহলে চেকটিতে ইচ্ছেমত টাকার অঙ্ক বসিয়ে ডিজ অনার মামালার আসামি করাহয়; এরপর পলাতক জীবন কাটাতে হয় অথবা জেলে যেতে হয়; অন্যথায় শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে সুদে কারবারীর দেনা পরিশোধ করতে হয়।
এসকল এনজিও’র পরিচালক নাম ধারীরা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত ক্রেডিট প্রোগ্রাম চালুকরে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন বছরের পর বছর। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে অধিক সুদ আদায় ও সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠলেও কচ্ছপ গতিতে চলছে উপজেলা সমবায় অধিদপ্তর; আর রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
সকাল হলেই উপজেলা সদর বাজার সহ প্রত্যন্ত এলাকায় ঋনআদায়,সঞ্চয় আদায়,বীমাএবং ডিপিএস আদায়ের পাশ বই নিয়ে গ্রাহকের দ্বারেদ্বারে হাজির হন ওই সকল নাম সর্বস্ব এনজিওর বেতনভোগী মাঠ কর্মীরা। এদের মধ্যে কিশোরী, উঠতি বয়াসী যুবতী ও মধ্যবয়াসী নারীরা রয়েছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে এদেরমধ্যে একাধিক কর্মীর পর্দার অন্তরালে রয়েছে অনৈতিকতার গোপন রহস্য। সরাসরি লিখতে গেলে হয়তো সরিষার ভিতরের ভূত বেরিয়ে আসবে।
এব্যপারে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আতাউর রহমান পাটোয়ারী জানান,উপজেলায় ৯১টি নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে।এরমধ্যে ৫০টি নিয়মিত,বাকিগুলো রয়েছে অনিয়মিত।তবে সমিতির সদস্যদের মাঝে ক্রেডিট কার্যক্রম ব্যতিত সমবায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন সমিতি বাহিরের লোকজনের সাথে ঋণ আদান/প্রদান সহ সুদের কোন ব্যবসা করে, তা হবে সমবায় আইনের পরিপন্থি। তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।