ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মৌলভীরচর হাট/বাজারে চলতি অর্থ বছরে সরকারি উন্নয়ন কাজের বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১টায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাজারের জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি অর্থ বছরে শেষ লগ্নে এসে শতবর্ষী পুরানো ওই বাজারের অভ্যন্তরে উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছেন উপজেলা এলজিইডি। এসব উন্নয়ন কাজের মধ্যে ওই বাজারের বিভিন্ন অলিগলির ইটের রাস্তা পাকাকরন, কাচামাল হাটার জন্য একটি নতুন সেডঘর নির্মান, পুরাতন সেডঘরটি মেরামত, বাজারে দু’টি বাথরুম নির্মান ও দু’টি গভীর নলকুপ স্থাপনা কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজ বন্ধ করার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে স্থানীয় নুরু মৃধা গং সম্প্রতী বাজারের ভিতরের মোট ১ একর ৩৩ শতাংশ জমির মালিকানা দাবী করে ফরিদপুর যুগ্ন জেলা জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেছেন। মামলা নং-দেওয়ানী ১১২/১৯। এ মামলার কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বাজারের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তাই ওই বাজারের উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে এবং উন্নয়ন কাজ বহাল রাখার দাবীতে এক প্রতিবাদ সভা করেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় লোহারটেক ভোকেশনাল কারিগরি শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ ও ব্যবসায়ী মোঃ আরমান আলী শিকদার। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ওই বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ সিরাজ খান, ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন খান, শেখ সেলিম মাহমুদ ও মতি মোল্যা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, “দীর্ঘকাল ধরে প্রতিবছর বাজারটি সরকারিভাবে ডাক হচ্ছে এবং পেরীফেরীর অন্তর্ভুক্ত আছে। সেমতে প্রতিবছর সরকারিভাবে টুকটাক উন্নয়ন কাজ হয়ে আসছে। কিন্তু এ বছর বাজারটি উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে বড় অঙ্ক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় একটি মহল প্রতিহিংসা বশত চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ করার জন্য ওই বাজারের ১ একর ৩৩ শতাংশ জমির মালিকানা দাবী করে কোর্টে একটি মামলা করেছে। বিজ্ঞ আদালত ১৫ দিনের সময় বেধেঁ দিয়ে ওই বাজারে চলমান উন্নয়ন কাজের উপর কেন নিষেধাজ্ঞা জারী করা হবে না বলে প্রত্যেক বিবাদীর প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন”।