বড়াইগ্রামে বাল্য বিয়ে দেয়ার অভিযোগে সোমবার দুপুরে কনের বাবা-মা এবং কাজীকে আটক করা হয়েছে। ইউএনও আনোয়ার পারভেজ পুলিশসহ বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করেন। বাল্যবিয়ের শিকার রহিমা খাতুন (১৫) উপজেলার নিশ্চিন্তপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনায় আটকরা হলেন- রাজাপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিন খন্দকারের ছেলে কনের পিতা আনসার আলী, কনের মা ফাতেমা বেগম ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে আবু সাঈদ।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার গোপনে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্কুলছাত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার আদগ্রামের ফজলু প্রামাণিকের ছেলে রিপন আলীর বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। সোমবার দুপুরে কনের বাড়িতে বরযাত্রী আসা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ কনের বাড়িতে হাজির হন। পরে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের পিতা-মাতাকে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে নিকাহ রেজিষ্ট্রার আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানান, বাল্য বিয়ে বন্ধে আমরা বদ্ধ পরিকর। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের বাবা-মা এবং কাজীকে আটক করা হয়েছে।