বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অজ্ঞাতনামা দুর্বত্ত কর্তৃক চালককে হত্যা ও মটরসাইকেল ছিনতাই ঘটনায় দুই ব্যাক্তিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আটক দুই ব্যাক্তি মোল্লাহাটের সিংগাতী গ্রামের রফিক সরদারের ছেলে আবদুল হামিদ সরদার ওরফে রানা ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বামনডাঙ্গা নতুন শেখবাড়ী এলাকার বোরহান শেখের ছেলে মোঃ শাকিব শেখ । এ দু’জনকেই মোল্লাহাটের সিংগাতী এলাকা থেকে গত শুক্রবার আটক এবং পরদিন শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল আহসান জানান- গত ১৮ জানুয়ারী মাদারীপুর ষ্ট্যান্ড হতে ওই এলাকার জনৈক আবুল হোসেন মোল্লার মটর সাইকেলে চড়ে মোল্লাহাটের মৌপুরা নির্জন এলাকায় পাকা রাস্তার মাঝে পৌছে গতিরোধ করতে বলে যাত্রীবেশী দুই দুর্বৃত্ত। ওই সময় গতিরোধ করামাত্র পূর্ব পরিকল্পণা মাফিক ওৎপেতে থাকা অন্যান্য দুর্বৃত্তরা একযোগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে পাশের তাল গাছের নীচে চালককে ফেলে রেখে মটরসাইকেল নিয়ে যায় তারা। রাত ১১টার দিকের এ ঘটনা মোবাইলে জানতে পেরে ভিকটিমের আপন জনরা দ্রুত এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। ভিকটিমের অবস্থা অশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে অন্যত্র (ফরিদপুর) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১.৩০টায় মৃত্যু হয় মটরসাইকেল চালক আবুল হোসেনের। এরপর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের নামে মামলা করা হয়। যার নং-১৩/১৩, তাং-১৯/০১/১৯ ইং। ধারা ৩০২/৩৪/৩৯২ পেনাল কোড-১৮৬০। ওই মামলার যথাযথো তদন্তে সন্দেহাতীত প্রমান পাওয়ায় এ দু’জন’কে আটক এবং রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
আটক আবদুল হাকিম সরদার ওরফে রানার পিতা রফিক সরদার, বড়বোন রোমানা ও রুবিনা বলেন-তাদরে গ্রামে সীমাহীন দলাদলি ও খুন-যখমের ঘটনা ঘটে থাকে। তারা অত্যন্ত শান্তি প্রিয়। এমনকি কোন দলাদলিতেও নেই তারা। তবু তাদের ক্ষতি করতে/অশান্তিতে ফেলতে চাইছে কিছু দুস্কৃতিকারী। দুস্কৃতিকারীরা ষড়যন্ত্র করে যঘণ্য হত্যাকান্ডে জড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা এর থেকে পরিত্রান চান।