যশোরের কেশবপুরে বৃদ্ধ আবদুল গফুর মোল্যা অপহরণে জড়িত এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইনের আদালতে আসামি খালিদ হোসেন এই জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। আটক খালিদ হোসেন কেশবপুর উপজেলার রাজনগর বাকাবর্শী গ্রামের লাভলু মোল্লার ছেলে।
স্বীকারোক্তিতে খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, তিনি পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। গত ৭ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে আলমগীর হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আবু তালেবসহ কয়েকজন তাকে মোটরসাইলটি নিয়ে কলাগাছি বাজারে যেতে বলে। এরপর শালিসের কথা বলে আরো কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের কানাইডাঙ্গা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন বৃদ্ধ আবদুল গফ্ফারকে অপহরণ করে খুলনার ডুমুরিয়া থানাধীন খলশি গ্রামের দিকে চলে যায়।
উল্লেখ্য, কেশবপুরের কানাইডাঙ্গা গ্রামের আবদুল গফ্ফার মোল্যার মেয়ে জেসমিন আক্তারের সাথে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খলশি গ্রামের আনছার শেখের ছেলে আলমগীর হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের পারিবারিক বনিবনা না হওয়ায় জেসমিন আক্তার তার স্বামী আলমগীরকে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে আলমগীর হোসেন তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী জেসমিন আক্তারসহ পরিবারের লোকজনদের হুমকি দেয়। এরই জের ধরে গত ৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেসমিনের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আলমগীর হোসেন, মিঠু শেখ ও রাজাসহ কয়েকজনে এসে আবদুল গফ্ফারকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি প্রশাসশনকে অবহিত করা হলে তারা গফ্ফার মোল্যাকে একটি ঘেরের পাশে রেখে পালিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত খালিদ হোসেনকে আটক করে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে এ জবানবন্দি দেন।