খুলনার পাইকগাছায় পুলিশ আইনজীবীর কন্যা অপহরণ মামলায় আইনজীবীর পুত্রকে আটক করেছে। অ্যাড. মুজিবর রহমানের ছেলের বিরুদ্ধে অ্যাড. আবদুল মালেক তার স্কুল পড়-য়া মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার এবং আইনজীবীর পুত্রকে আটক করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে। তবে আটক পুত্রের পিতা অ্যাড. মুজিবর রহমান অপহরণের কথা অস্বীকার করে ছেল-মেয়ে দুজনেই পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঘরছাড়ে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।
থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানাগেছে, পৌর সদরের বাসিন্দা ও উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের অ্যাড. মুজিবর রহমানের ছেলে সাবিদুর বাবু দীর্ঘদিন ধরে অ্যাড. আ. মালেকের ৯ম শ্রেণিতে পড়-য়া মেধাবী মেয়েকে উক্ত্যক্ত করে আসছে। এ নিয়ে দু’পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি বলে জানাগেছে। সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে ৬ জুন সন্ধ্যায় সাবিদুর রহমান তাঁর সহযোগিদের সহয়তায় বোয়ালিয়া ব্রিজের কাছ থেকে জোর করে মটরসাইকেলে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। অ্যাড. মালেকের অভিযোগ একাধিক বার অনুরোধের পরেও তাঁর সহকর্মী মুজিবর রহমানের ছেলে বাবু মেয়েকে ফেরৎ না দিলে থানা পুলিশের সাহায্যে মেয়েকে রবিবার (৯জুন) রাতে খুলনা থেকে উদ্ধার করেন। এ নিয়ে সোমবার (১০জুন) দুপুর পর্যন্ত জৈষ্ঠ-কনিষ্ঠ আইনজীবী সহ দু'পরিবারের মধ্যে বসাবসি হলেও মীমাংসায় পৌঁছাতে পারেননি। এ ঘটনায় আ. মালেকের স্ত্রী মোছা. রোজিনা বাদী হয়ে অ্যাড. মুজিবর রহমান তাঁর দু’ছেলে সাবিদুর রহমান বাবু, আবিদুর রহমান সাইমুন সহ ৪ জনের রিরুদ্ধে থানায় নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেছেন, যার নং-৯।
তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাড. মুজিবর রহমান জানান, তাঁর ছেলে অপর সহকর্মী বন্ধু আ. মালেকের মেয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্কের জেরে দু'জনে চলে যায়। এটাকে পুজি করে অপহরণ কাহিনি সাজিয়ে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে মামলা করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলার কথা বলে ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, আটক আইনজীবীর পুত্রকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সহ ২২ ধারায় জবানবন্ধির জন্য খুলনায় পাঠানো হচ্ছে।