আকাশ-সংস্কৃতির এ যুগে দর্শকের ঘরেঘরেই বিনোদন ; হাতের নাগালে এনড্রয়েড ফোন, ঘরে রয়েছে ডিসলাইন ফলে সিনেমাপ্রেক্ষাগৃহে এখন আর উপচেপড়া ভীড়নাই।সারাদেশের প্রেক্ষাপটে চিতলমারীর এক সময়ের একটিমাত্র বিনোদন কেন্দ্র বুলবুল সিনেমা হলও এখন বন্ধহয়েগেছে।
বিনোদন প্রেমিদেরজন্য বুলবুল সিনেমা হলটি ছিল খুবই জমজমাট। নতুন ছবি মুক্তি পেলেই হলের কাউন্টারে হুলস্থূল পড়ে যেতো। বর্তমান দর্শকের অভাবে এবং লোকসানে পড়ে ইঞ্জি: রফিকুল ইসলাম তাপস তার হলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
চলচ্চিত্রের রুচিশীল কাহিনি আর সিনেমা হলের কাঙ্খিত পরিবেশের অভাবে দর্শক প্রিয়তা হারিয়েছে এমনই ধারণা রয়েছে সাধারণ মানুষের। হলটিতে একসময় ছিল দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু বর্তমানে যে ছবিগুলো তৈরি করা হচ্ছে তার অধিকাংশগুলোতে একই অভিনেতা আর দূর্বল কাহিনি ; এরফলে দর্শক হারিয়েছে দেশের অনেকাংশের হলগুলোয়। নব্বই এর দশকে প্রতিষ্ঠিত চিতলমারীর ঐতিহ্যবাহী একমাত্র বুলবুল সিনেমাহল বন্ধহয়ে সেখানেনেই এখন বিনোদনপ্রেমী মানুষগুলোর কোলাহল।
অত্যাধুনিক এনড্রয়েড ফোনে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ফেসবুক, ও স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর দৌরত্মে বিনোদন হাতের নাগালে পাওয়ার কারণে দর্শনার্থী না থাকায় এই জনপ্রিয় সিনেমা হলটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে বন্ধ হয়ে যায়।
বুলবুল সিনেমা হলের ম্যানেজার মোঃ জামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ১৮ বছর ধরে আমি এখানে ম্যানেজার হিসেবে আছি। বর্তমানে হলটি বন্ধ হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টের ভিতর দিয়ে জীবন যাপন করছি।ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ জোগানে ভীশন অসুবিধায় রয়েছি।
এক সময়ের সিনেমা পাগল এবং বর্তমান মেম্বার পরিমল হীরা জানান, সময় পেলেই পালিয়ে গিয়ে সিনেমা দেখতাম। এখন আমার বাসায় টিভি-ডিসের ব্যবস্থা রয়েছে। আমার হাতে রয়েছে দামী মোবাইল। তাতে ইচ্ছামত সিনেমাসহ নানা দেশি বিদেশি অনুষ্ঠান মিমেষেই দেখতে পারি। তাই সিনেমা হলে যেতে হয় না।
হলের বর্তমান মালিক ইঞ্জি: রফিকুল ইসলাম তাপস বলেন,এক সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দর্শকের কলরবে মেতে থাকতো সিনেমা হলটি। এখন আর সেদিন নেই। মুক্ত আকাশ-সংস্কৃতির এ যুগে ঘরে বসে দেখা যায় নানা ধরনের ছবি। সিনেমা হলে এমন একসময় ছিল টিকেট দেওয়া যেত না।