কেশবপুরের বাওড় মর্শিনা দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাওড়ের টোংঘর ভাংচুর বাওড়ের দু পাহারাদার কে মারপিট করে আহত করেছে। তারা স্থানীয় চিকিৎসকের চিবিৎসা নিয়েছে। যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৩ বছর মেয়াদে লীজ গ্রহণের পর প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে বাওড়টি দখলে নিতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে একর পর পর এক হুমকী অব্যাহত রাখায় সংখ্যালঘু মৎস্যজিবী সম্প্রদায় নিরাপত্তা হীণতায় ভুগছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেশবপুর থানা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে বলে জানালেন জাহানপুর মৎস্যজিবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি অপুর্ব সরকার।
মঙ্গলবার বিকেলে সমিতির সভাপতি অপুর্ব সরকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সরকার ,কোষাধ্যক্ষ অবিনাশ সরকারসহ সমিতির সদস্যরা কেশবপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসকের স্মারক পত্র নম্বর ০৫.৪৪০০৫.১৫০৮০-১৯ মোতাবেক আইটি, ভ্যাটসহ প্রায় ৬ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে তারা ১৪২৬ থেকে ১৪২৮ সাল পর্যন্ত ৩ বছর মেয়াদে লীজ গ্রহণ করেন বাওড় মর্শিনার । সে মোতাবেক বাওড়ে লক্ষাধিক টাকার মাছের পোনা ছেড়ে চাষ করা কালীণ বাওড় টির উপর একটি প্রভাবশালী মহলের কু দৃষ্টি পড়ে তারা ১১ জুলাই বহিরাগত কতিপয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাওড়ের পাহারাদার জাহানপুর গ্রামের সলেমান দফাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মাজেদ মোড়লের ছেলে আবদুল হাই কে মারপিট ও টোংঘর ভাংচুর করে। সমিতির সভাপতি অপুর্ব সরকার জানান,বর্তমানে জাহানপুর মৎস্যজিবী সমিতির সদস্যরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এ ধরনের তান্ডবতায় হুমকীর মুখে রয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের দফতরে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে।