যশোর জেলা পরিষদের নিকট থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করে বাঘারপাড়া রাস্তার পাশের গাছের কাঁঠাল কাটতে গিয়ে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ঠ ফল ক্রেতা। ফলে ঐ দিন তাদেরকে কাঁঠাল না কেটেই ফিরে যেতে হয়।
এলাকাবাসী জানাই গত ১০ই জুন সোমবার বিকালে বসুন্দিয়া জগন্নাথপুর গ্রামের আঃ সামাদ মোল্যার পুত্র সজিব হোসেন সহ কতিপয় যুবক উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর - চাড়াভিটা বাজার রাস্তার পাশের গাছের কাঁঠাল কাটতে শুরু করলে স্ব স্ব জমির মালিক যারা দীর্ঘদিন যাবৎ এসব গাছের ফল ভোগ করে আসছিল তারা বাধা দিলে ঐ যুবকগন দরপত্র ক্রয়ের কাগজপত্র দেখায়। যার স্মারক নং জেপয/প্রকৌ/ফল বিক্রয় ফল-১(২০১০)-২৫৫/১(৫০) বিজ্ঞপ্তী নং ১২/২০১৮-১৯ চালান নং ৫১২৬ ডি ডি।১৯১।১৯০ যার ছাড়পত্র দেওয়া হয় গত ৩ই জুন ২০১৯। দরপত্র বিবরণীতে উল্লেখ করা হয় যশোর - নড়াইল সড়কের ঝুমঝুমপুত্র হতে যশোর জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত বসুন্দিয়া বাজার মোড় হতে ধলগ্রাম নড়াইল সংযোগ সড়কের পাশের ফলজ গাছের ফল। বসুন্দিয়া - আফরা মোড় হতে আফরা ঘাট সড়ক, নড়াইল সড়কের দোরাস্তা শেরশাহ সড়ক, বাঘারপাড়ার নারকেলবাড়িয়া সড়ক, বহরামপুর বাঘারপাড়া সড়ক, চাড়াভিটা পেট্রলপাম্প হতে ঘুনী খুলনা সড়ক, খাজুরা চৈত্রবাড়িয়া সড়ক, খাজুরার কালিগঞ্জ সড়ক এবং লেবুতলা বাঘারপাড়া সড়কের রাস্তার পাশের গাছের বিভিন্ন প্রকার ফল সর্বমোট ৩৫,২০০/- টাকা মুল্যের ক্রয় করেন ছাতিয়ানতলার দরাজহাট গ্রামের লুৎফার রহমানের পুত্র মোঃ ওহিদুল ইসলাম। উল্লিখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ক্রেতা এসব গাছের ফল অপসরণ করবেন মর্মে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানাই রাস্তার পাশের বেশির ভাগ ফলের গাছ তাদের নিজেদের রোপন করা। সেই হিসাবে গ্রামীন জনপদের স্ব স্ব জমির মালিকগণ দীর্ঘ বছর ধরে এসব গাছের ফল ভোগ করে আসছে। সম্প্রতি জেলা পরিষদের তালিকায় নতুন করে গ্রামীন জনপদের এসব রাস্তার ফলজ গাছ যুক্ত হওয়ায় তার দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু এতে মোটও সন্তোষষ্ট নয় গ্রামীন জনপদের মানুষ।