ঈদ পরবর্তী আনন্দে খুলনার পাইকগাছায় ব্রিজগুলোতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যও দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঈদের দিন ও পরবর্তী কয়েক দিন ব্রিজগুলোতে জন¯্রােত ছিলো অনেক বেশি। উপজেলায় বিনোদনের তেমন কোনো স্পর্ট না থাকায় ব্রিজ গুলই বিনোদনের কেন্দ্রোবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে। উপজেলা সদরে মধুমিতা পার্ক নামে একটি পার্ক থাকলেও সেখানে কোনো বিনোদনের পরিবেশ না থাকায় কেউ যায় না। এ কারণে পাইকগাছাবাসীর অনেকেই মধুমিতা পার্কের নাম ভুলতে বসেছে।
নদ-নদীবেষ্টিত পাইকগাছা উপজেলা সদর পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলো ৩টি ব্রিজ দ্বারা যোগাযোগ মাধ্যম তৈরী হয়েছে। পূর্বপাশে শিবসা ব্রিজ, দক্ষিণ পাশে শিববাটী ব্রিজ ও পশ্চিম দিকে কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রিজ (প্রস্তাবিত পিসি রায় ব্রিজ) অবস্থিত। যে কোনো উৎসবে এই ব্রিজ ৩টিতে দর্শনার্থিদের বিনোদনের কেন্দ্র হিসাবে পরিণত হয়। কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রিজ। ব্রিজ সংলগ্ন বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে বিনোদনের জন্য ছোট একটি পার্কের মত জায়গা রয়েছে। অনেকেই সেখানে উৎসবে পিকনিকসহ ছোট অনুষ্ঠান করে থাকে। ব্রিজের নীচে কপোতাক্ষ নদে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ কেউ নৌকা ভ্রমণে মেতে ওঠে। এবারের ঈদে বোয়ালিয়া ফার্ম ও বোয়ালিয়া ব্রিজে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। এদিকে উপজেলায় বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনিতে ব্যাপকভাবে বসতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও ভ্রমণ এবং বিনোদনের জন্য কোনো পার্ক আজও তৈরী হয়নি। বাধ্য হইয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিনোদন ও ভ্রমণের জন্য বাহিরে যেতে হয়। অনেক সময় একগুয়েমিভাবে বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে হয়।
দর্শনার্থীরা জানান, পাইকগাছায় বিনোদনের জন্য কোনো পার্ক না থাকায় বোয়ালিয়া ব্রিজ ও ফার্ম এলাকায় ঘুরতে এসেছে। উন্ম ব্রিজে দর্শনার্থীদের ঢল নামায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশী টহল ব্যবস্থা করা হয়।