প্রচন্ড দাবদাহে খুলনার পাইকগাছায় জ¦রের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকে সপ্তাহ ধরে উপজেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কেউ না কেউ মারাত্মক জ¦র, মাথাব্যথা ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। জ¦রের সঙ্গে সর্বশরীরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূতি হচ্ছে। এদিকে হঠাৎ জ¦রের রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় প্যারাসিটামল গ্রুপের বিশেষ করে সিরাপের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলায় ভাইরাসজনিত জ¦রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ছোট শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বড়রাও বাদ পড়ছে না। বয়োবৃদ্ধরা জানান, একসময় মানুষের শরীরে জ¦র ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রিতে থাকতো। কিন্তু এখন ভাইরাসজনিত যে জ¦র হচ্ছে তা ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠছে। ওষুধ খেলে জ¦র সঙ্গে সঙ্গে কমে যাচ্ছে। কিন্তু একেবারে সেরে যাচ্ছে না। অ্যান্টিবায়োটিকে তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না বলেও অনেকে জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সাফিকুল ইসলাম শিকদার জানান, বহিঃবিভাগে যেসব রোগী আসছে তার প্রায় অর্ধেক জ¦রে আক্রান্ত রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, প্রচন্ড দাবদাহে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরছে। ঘাম শরীরে বসে ঠান্ডার কারণে সর্দি-জ¦রে আক্রান্ত হচ্ছে সবাই। এ ছাড়া ভাইরাসের কারণেও জ¦র হচ্ছে।
উপজেলার প্রধান স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, প্রখর রৌদ্রে যতদূর সম্ভব কম চলাফেরা করতে হবে। শরীরে ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে ফেলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। এ ছাড়া লেবুর রস ও শরবত বেশি বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, জ¦র এলে পানি দিয়ে শরীর বারবার মুছতে হবে এবং গোসল করতে হবে। স্থানীয় বাজারের কয়েক জন ফার্মেসি ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ ভায়েল প্যারাসিটামল সিরাপ বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্ট সমিতির উপজেলা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হঠাৎ করে জ¦রের রোগীর সংখ্যা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে শিশুদের প্যারাসিটামল গ্রুপের সিরাপের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।