মোল্লাহাটের সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ রাসেল মল্লিকের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুর্ব্যবহার ও হয়রানীর শিকার খান মফিজুল ইসলাম নামে এক দলিল লেখক। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় মোল্লাহাট সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস সংলগ্ন খান মফিজুল ইসলামের সেরেস্তায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই অফিসের দলিল লেখক খান মফিজুল ইসলাম জানান-প্রায় দুই মাস পূর্বে গত ১০/০৪/১৯ ইং তারিখ এ অফিসে আসেন সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ রাসেল মল্লিক। শুরু থেকেই তিনি সকল দলিলের পণ মূল্যের ১% বাধ্যতা মূলক দাবী করেন। এছাড়া উদ্দেশ্য মূলকভাবে প্রতিটি দলিলে ত্রুটি ধরে/অযুহাতে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। টাকা না দিলে দলিল রেজিষ্ট্রী করেন না। কেবল টাকা দিলে রেজিষ্ট্রি করেন। যদি কোন দলিল লেখক টাকা না দেয় তা হলে তার সনদ বাতিল করার হুমকী দেয়াসহ খারাপ আচারন/ব্যাবহার করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে দলিল করতে আসা লোক জনের প্রতি খারাপ আচারন করে ও ভোগান্তিতে ফেলে। যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ওই দলিল লেখক টাকা কম দেয়ায় তার সাথে একাধিকবার খারাপ আচারন করাসহ তার সনদ বাতিলের হুমকী দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। ঘুষের সকল টাকা অফিস সহকারী কুমুদিনী মল্লিকের মাধ্যমে আদায় করেন বলেও জানান দলিল লেখক। উক্ত সকল অনিয়ম-দুর্নীতি-ঘুষ ও হয়রানী বন্ধসহ এহেন যঘণ্য কর্মকান্ডের যথাযথ প্রতিকার দাবীতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দলিল লেখক খান মফিজুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের সাক্ষাতকারে অভিযোগের বিষয় সমূহ এড়িয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ রাসেল মল্লিক বলেন-এনএন ফি নেয়া হয়, আইন আছে নেয়ার, এক মহুরী (খান মফিজুল ইসলাম) ওই টাকা না দেয়ায় সেটা চাওয়া হয়েছে। এসময় অপ্রাসঙ্গিক হলেও নিজ থেকে সাংবাদিকদের নিকট বলেন-তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি (সহকারী পরিচালক) পদে চাকরী পেয়ে ছিলেন। সাব-রেজিষ্ট্রার হওয়ারপর সেটা ছেড়ে এসেছেন এবং তার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে।