লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে শ্রমিকলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট মোবারক হোসেন বাদী হয়ে রামগতি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জামাল রামগতির পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মালেকের ছেলে এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট মোবারক হোসেন তার দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিয়ে রামগতির থানার পাশের্^ যানবাহন তল্লাশি শুরু করে। ওই সময় লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতি উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি পিক আপ থামানো হলে চালক গাড়ী থেকে নেমে দৌঁড়ে তাদের নেতা জামাল উদ্দিনকে ডেকে আনে।
এসময় জামাল উদ্দিন পুলিশ কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি এক পর্যায়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেন বাধা দিলে তাকেও মারধর করে আহত করা হয়। পরে ওয়াকি টকি ম্যাসেজ এ থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং জামাল উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বাদী হয়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগ এনে রামগতি থানায় জামাল উদ্দিনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমের জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।
শুক্রবার সন্ধায় এ তথ্য নিশ্চিত করে রামগতি থানার ওসি থানার ওসি এটি এম আরিচুল হক জানান, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে আটককৃত জামাল উদ্দিনকে জেলে পাঠানো হয়েছে।