জামালপুরের ইসলামপুরের কুলকান্দি ইউপিতে ৩০ কেজি ওজনের ২০৬ বস্তা ভিজিডি’র চাল গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের ২২৫ জন ভিজিডি কার্ডধারীর জন্য মার্চ ও এপ্রিল দুই মাসের বরাদ্দের ৪৫০ বস্তা চাল উত্তোলন করে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট নিজ বাড়িতে মজুদ করেন। কিন্তু ঈদের আগে চাল বিতরণের স্থানীয় প্রসাশনের নির্দ্দেশ থাকা স্বত্ত্বেও চেয়ারম্যান চাল বিতরণ না করায় কার্ডধারী ও ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মনি ও সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে নির্দেশে দেন। তারা উভয়ে তদন্ত করে ৩০ কেজি করে ২০৬ বস্তা চাল কম পান। পরে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেটের স্বীকারোক্তি ও স্বাক্ষর নিয়ে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন । এ বিষয়ে ভিজিডি’র চাল বিতরণের তদারকি কর্মকর্তা জাকির হোসেন এর কাছে জানাত চাইলে তিনি বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
কুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট বলেন, পরিষদ থেকে ভিজিডির কোনো চাল গায়েব হয়নি। চাল অন্য গুদামে আছে। আমি ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যে অভিযোগ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, তদন্তে ২০৬ বস্তা ভিজিডি চাল ইউপি চেয়ারম্যানের গুদামে পাওয়া যায়নি তার সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন চালগুলো না’কি অন্য গুদামে আছে। তাই ১৪জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালগুলো পরিষদের গুদামে ফেরত আনার জন্য সময় নিয়েছেন। যদি তিনি তা ফেরত দিতে ব্যর্থ হন তা’হলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদের সরকারী ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।