বাগেরহাটের চিতলমারী সদর বাজারে মধু মাসের নানা প্রজাতির রসালো ফলফলাদীর দোকানগুলো আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে ; যেমন আম,জাম,কাঠাল, লিচু, আনারশ প্রভিত্তি। এসকল রসালো ফলের মধ্যে বিশেষ করে আম কিনতে সাধারন ক্রেতাদের অনেকটা ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ হিসেবে জানাগেছে দেশের সর্ববৃহত আম রপ্তানীঅঞ্চল রাজশাহী বিভাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত আমে মেশানো হচ্ছে মানবদেহের জন্য নিষিদ্ধ ক্ষতিকার ক্যালসিয়াম কার্বাইড।আর এই আম পাকাতে এবং স্থায়িত্ব বাড়াতে বাগানে বসেই ক্ষতিকার নিষিদ্ধ ক্যালসিয়াম কার্বাইড স্প্রে করা হয়।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে এক আম ব্যবসায়ী জানান, ক্যালসিয়াম কার্বাইডের প্রভাবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত আম পেকে যাবে। ওই পাকা আম স্তুপ করে রাখলেও ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত নষ্ট হবেনা এবং আকর্ষনীয় বাহারী রং থাকবে।
গতকাল শনিবার(১৫জুন) চিতলমারী সদর বাজারের আমের দোকান ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানদার ফুটপাতে নানা প্রজাতির আমের পসরা নিয়ে বসে আছেন।আর অধিকাংশ দোকানের উপরে রয়েছে হলুদ রংয়ের পলিথিনের ছাওনী। পলিথিনের হলুদ রংয়ের ঝিলিক এসে পড়ছে আমের ঝুড়ির উপরে। এর ফলে আমের চিকচাক চেহারা মানুষকে করছে আকৃস্ট। কিন্তু এ চেহারা যে, আসল চেহারা নয় তা নিয়ে সরেজমিনে অনেকেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
ফলে সচেতন মানুষগুলোর অনেকাংশ আম ক্রয়ের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।আর সে কারণে আগের তুলনায় ভরা মৌসুমেও এখানকার আমের বেচাকেনা একেবারেই মন্দা রয়েছে।
প্রসঙ্গত; ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির একটি অন্যতম উৎস। কিন্তু দেশের একশ্রেণির মধ্যসত্ত্বভোগী, মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে ফল পাকিয়ে ফলের খাদ্যমান বিনষ্ট করছে। হরহামেশা ক্যালসিয়াম কার্বাইডসহ বিভিন্ন প্রকারের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে আম, কলা, কাঁঠাল, আনারসসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় ফল পাকানো হচ্ছে। এতে ক্রেতাসাধারণ ও ভোক্তাগনকে প্রতারিত হয়ে আর্থিক এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরমতে; ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম খাওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদি নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। আম বিক্রির এ মৌসুমে সংশয়ে ভুগতে হচ্ছে সবাইকে।