পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে মারপিট করে আহত করেছে তার স্বামী। আহতাবস্থায় ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে। আহত গৃহবধূ হলেন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার দড়ি কাছিকাটা গ্রামের শামীম হোসেনের স্ত্রী ও চাটমোহর উপজেলার লাঙ্গলমোড়া গ্রামের ডাঃ ফজলুল হকের মেয়ে ফেরদৌসী খাতুন ফেন্সি (৩০)। এরআগে বুধবার ওই গৃহবধূকে তার স্বামী শামীম হোসেন ও শ্বাশুড়ি হাফিজা খাতুন এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তা আনার জন্য বাপের বাড়ি লাঙ্গলমোড়া পাঠিয়ে দেয়। আহত গৃহবধূ ফেরদৌসী ও তার পিতা ফজলূল হক জানান,বৃহস্পতিবার সকালে শামীম তাদের বাড়িতে আসেন। রাতে স্ত্রীকে ফের যৌতুকের এক লাখ টাকার কথা বলেন। কিন্তু ফেরদৌসী জানান,তার পিতা পল্লী চিকিৎসক। এ মূহুর্তে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শামীম তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে। ফেরদৌসীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন উঠে আসলে শামীম শ্বশুড়বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে আহতাবস্থায় ফেরদৌসীকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত গৃহবধূর পিতা আরো জানান,প্রায় ১৬ বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই জামাতাকে ১০/১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু বারবার টাকা দাবি করায়,তা না পেয়ে মাঝে মধ্যেই মারপিট করে। ইতোপূর্বে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলো। মান সম্মানের কারণে তা প্রকাশ করা হয়নি। তাছাড়া তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। ্ অবস্থায় ফের এক লাখ টাকা দাবি করে ফেরদৌসীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর বাড়িতে এসে মারপিট করে চলে যায়। ফজলুল হক জানান,বিষয়টি গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে জানানো হয়েছে। তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।