জেলার দুর্গাপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে কর্তৃক দেয় সেবা খাত থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্য স্থানীয় সুসঙ্গ সরকারী মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় প্রকৃয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে শনিবার ঐ মহাবিদ্যালয়ে গেলে ক্রয় কমিটির আহ্বায়ক সহঃঅধ্যাপক মোঃ মজিবুর রহমান বলেন ৪লক্ষ টাকার অধীক বরাদ্দ এসেছে ঠিকই আমরা তো নামে মাত্র ক্রয় কমিটি, কর্মকর্তা তাঁর নিজের পছন্দের ঠিকাদার দিয়ে সব সময়ই এ কাজটি করে থাকেন। মহাবিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রভাষকদের অভিযোগ, কর্মকর্তা ইন-চার্জ ড. ভবানী সাহা শুধু শিক্ষা উপকরণই নয় বিভিন্ন কৌশলে কলেজের নানা খাত থেকে টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করেই চলছেন এবং করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন প্রভাষক বলেন, চলতি বছরে শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য যে বরাদ্দ এসেছে তা অনেক কলেজই পায়নি। তবে দরপত্র আহবান না করে উপকরণ ক্রয় প্রকৃয়াটি সত্যিই আপত্তি জনক এবং অনিয়ম। রেজুলেশনের মাধ্যমে নামমাত্র কমিটি দেখিয়ে অন্য সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি তিনি খুব ভালোই বোঝেন এবং করে থাকেন। শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের অর্থ প্রাপ্তির জন্য বিল-ভাউচার উপজেলা হিসাব রক্ষণ দপ্তরে জমা করা হলে ঐ দপ্তরের উচ্চমান সহকারী মি. নিখিল চন্দ্র বলেন বিলে বেশ অসঙ্গতি থাকায় আমরা বিল সংশোদনের জন্য ফেরৎ পাঠিয়েছি। এ নিয়ে ড. ভবানী সাহা বলেন আমার কলেজের বিষয়, সেটি উন্মোক্ত টেন্ডারে করবো নাকি বিনা করবো সেটা আমার বিষয় ১০ জাতের শিক্ষা উপকরনের জন্য ৪লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পেয়েছি আমার চাকরী শেষ আগামি সপ্তাহেই হয়তো আমি অবসরে চলে যাবো। আমি দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত যে কোন কাজ বিনা দরপত্রে করতে পারি। এদিকে হিসাব রক্ষণ অফিস বলছেন ৫০ হাজার টাকার বেশী কোন বিল ভাইচার তিনি করতে পারেননা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন আমি নতুন এসেছি এ বিষয়টি এখনো জ্ঞাত হইনি।