বামনা আমার দাদার বাড়ী, সে বাড়ীটিও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। যাদের ঘর বাড়ী নদীতে ভেঙ্গে যায় তাদের যে কষ্ট দুর্দশা সেটা আমি অনুভব করতে পারি। কারণ আমার বাবার বাড়ীও বিলীন হওয়ার পথে। আমাদের মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও এই দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী ভাবেন। গত দশ বছরে তিনি সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন এই দক্ষিনাঞ্চলেই করেছেন।
গতকাল শনিবার বিকাল পাঁচটায় বরগুনার বামনা উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভায় বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম এমপি এ বক্তব্য দেন।
সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরগুনার বামনা উপজেলা সদর সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ও নদী ভাঙ্গন রোধে ডাম্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বামনা উপজেলায় পৌছে প্রথমে তিনি তাঁর পৈত্রিক জন্মভিটা কলাগাছিয়ার গ্রামের খন্দকার বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে মরহুম দাদা খন্দকার আবদুল হাকিম ও মরহুম ফুফা খন্দকার আবুল হাসান এর কবর জিয়ারত করেন।
পরে উপজেলার বিষখালী নদী ভাঙ্গন কবলিত কলাগাছিয়া গ্রামের ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে লঞ্চঘাট হয়ে খাদ্য গুদাম পর্যন্ত ৫৫০ মিটার নদী ভাঙ্গন রোধে নদীতে ডাম্পিং কর্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী(দক্ষিনাঞ্চল) মো. জুলফিকার আলী হাওলাদার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান, বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি, বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস প্রমূখ।