সাধারণ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বেনাপোল এলাকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি অশান্ত করে তোলায় পোর্ট থানার ওসি আবু সালেহ মাসুদকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে যশোর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।
ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের নিকট প্রত্যাহারের দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত ২২ ডিসেম্বর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আকুল হুসাইনের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ হামলার পর থেকে নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে বর্তমানে যশোর শহরে বসবাস করছেন। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম গত ১৩ জুন রাতের অন্ধকারে আকুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতাকে ফাঁসাতে গভীর রাতে নিজের সাথে করে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বদনাম রটাতে ফেনসিডিলের খালি বোতল উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ। সংবাদ বলা হয়েছে, ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম ইতোপূর্বে রাজধানীর ধানমন্ডী থানায় থাকাবস্থায় কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ধানমন্ডি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে ধানমন্ডী থানা থেকে তাকে বদলি করা হয়। এরপর তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার এসেও একইভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছেন। তারই অংশ হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা আকুল হুসাইনের বাড়ি থেকে রাতের অন্ধকারে এসব অবৈধ জিনিস উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়েছে। ওসি আবু সালেহ মাসুদ গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হলেও তিনি ও তার পরিবার বিএনপির সমর্থক। তিনি যেখানে যান সেখানে আওয়ামী পরিবারের ওপর নির্যাতন হয়রানি করে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহ-সভাপতি বিএম জাকির হোসেন, জাবের হোসেন জাহিদ, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ হুসাইন ইকবাল, সাবেক সহ-সভাপতি এসএম হালিম বিশ্বাস, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, এরো রহমান, শেখ সজিবুর রহমান, সাবেক সহ-সম্পাদক আহসান হাবীব, শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজোয়ান হোসেন মিথুন, কেশবপুর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম, বাঘারপাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম শাহজালাল প্রমুখ।