ইংরেজ শাসনামলে কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে একই মেন্যুতে সকালের নাস্তা করতো বাংলাদেশের কারাবন্দীরা। অবশেষে পরিবর্তন হলো তাদের এই মেন্যুর। এবার নাস্তায় যুক্ত হয়েছে মুখরোচক কিছু খাবার। কক্সবাজার জেলা কারাগারে রুটির বদলে দেয়া হচ্ছে খেচুরী। রবিবার সকালে কারাবন্দীদের সকালের খাবারের পরিবর্তিত মেন্যু উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ শাজাহান আলী। এ সময় জেলা সুপারমোঃ বজলুর রশিদ আখন্দ, জেলার রিতেশ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। কারা সূত্র জানায়, কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সকালের নাস্তায় একটি মেন্যু ছিল। নাস্তায় একজন কয়েদি পেত ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১২০ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেত ৯০ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোঃ বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, নতুন মেন্যুতে একই খাবার পাবে একজন কয়েদি ও হাজতি। তারা সপ্তাহে ২ দিন পাবে ভুনা খিচুড়ি, ৪ দিন সবজি ও রুটি এবং বাকি ১ দিন হালুয়া ও রুটি। রোববার ভোর থেকে এই মেন্যু কার্যক্রম হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকালের নাস্তা ১টা রুটি এক টুকরো গুড়। ১৮৬৪ সাল হতে শুরু। ১৫৫ বছর পর সরকার জেলখানায় বন্দীদের জীবনমান উন্নতির জন্য আজ নতুনভাবে নাস্তার প্রচলন শুরু করলো। খিচুড়ি ২ দিন, রুটি সবজি ৪ দিন এবং রুটি ও হালুয়া ১ দিন। সারা বাংলাদেশে একযোগে নতুনভাবে এ নাস্তার প্রচলন সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নতুন মেন্যুর বিষয়টি জেনে কারাবন্দীরা আনন্দ প্রকাশ করেছে।