গাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার ডলি খানম (২২) নামে সেই গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবার শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। তিনি রবিবার (১৬ জুন) সকালে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যান। এ সময় তিনি গৃহবধূর বেডের পাশে দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলেন এবং তার সুচিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং ওই পরিবারের নিরাপত্তাসহ ঘটনার বিষয়ে ন্যায়বিচারের বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
একইসময় তিনি গৃহবধূর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দায়িত্বশীল ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া সাথে উপস্থিত থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলে মামলার খোঁজ-খবর নেন। এরআগে ওই গৃহবধূ ডলির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে প্রথমে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শনিবার দুপুরে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
জেলা প্রশাসকের সাথে নির্যাতিতা গৃহবধূ ডলিকে দেখতে ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম এহছানুল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. রেজাউল করিম, এনডিসি মেজবাউল আলম ভূঁইয়া, জেলা হাসপাতালের চলতি দায়িত্বে থাকা আরএমও ডাঃ খাইরুল কবির সুমন, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. চৌধুরী শামীমা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আলমগীর হোসেন শাহ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডলি খানম নামে এক অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন এবং ওই নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টের ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক মাস পর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয় এবং গত ১১ জুন এক সেনা সদস্যসহ ওই গৃহবধূর ৩ ভাসুর ও জাসহ ৯ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়।