যশোর জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা রোববার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল। তিনি বলেন, যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ভৈরব নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের পাশাপাশি সংস্কার। একইসাথে নদের দুই ধারের সৌন্দার্য্য বর্ধনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। আগামি ১ বছরের মাথায় সবই দৃশ্যমান হবে। সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহানী শবনম পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, বড় অংকের বিল বকেয়া থাকলেও সে বিল পরিশোধের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না পৌরকর্তৃপক্ষ। এদিকে পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্যে উপর মহল থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে, আর এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়বে বলে তিনি জানান। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের প্রতি বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান তিনি। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপের সিদ্ধান্ত নেয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সামনে পুলিশে এবং শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এই নিয়োগ নিয়ে কেউ যেন অর্থ বাণিজ্যে জড়িয়ে না যায়।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকাদার বলেন, সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে পুলিশে নিয়োগ হবে। এখানে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাবার কোন সুযোগ থাকবে না। অপরদিকে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ওহিদুল আলম বলেন, ২২ থেকে ২৬ জুন যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলবে, সেখানে কোন রকমের অনৈতিকতার সুযোগ থাকবে না। এ বিষয়ে তিনি তথ্য অফিসের মাধ্যমে সতর্কতামূলক প্রচারণার আহবান জানান।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত, ডেপুটি সিভিল সর্জন ডা. আবদুর রশিদ, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ড. মোস্তানিছুর রহমান এবং অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।