বাগেরহাটের চিতলমারীতে নিখোজের দুইদিন পরে খালিদ তালুকদার (৬) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের সবুজ তালুকদারের মৎস্য ঘের থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় শিশু খালিদের পিতার করা অপহরণ মামলায় ৩ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
খালিদ তালুকদার চৌদ্দহাজারী গ্রামের মো. কাওছার আলী তালুকদারের ছোট ছেলে। কাওছার আলী তালুকদরা চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চৌদ্দহাজারী ঈদগাঁ মাঠে কয়েকজন শিশুর সাথে খেলা করছিল খালিদ তালুকদার। সেখান থেকে সে নিখোজ হয় খালিদ।পরে অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে রবিবার খালিদের পিতা কাওছার তালুকদার বাদি হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫-৬জনকে আসামী করে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় চৌদ্দহাজারী গ্রামের বাদশা তালুকদার, কামর”ল শেখ এবং মেরি বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। অন্যদের আটকের চেস্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকুল সরকার।
এ ঘটনায় চিতলমারী থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ খালিদকে উদ্ধারের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। সোমবার বিকালে শিশুরা খেলতে গিয়ে ঘেরর ভিতর খালিদের লাশ ভাসতে দেখে চিৎকার করলে সবাই এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খালিদের লাশ পার্শ্ববর্তী সবুর তালুকদারের ঘের থেকে উদ্ধার করে। এ সময় চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেরা কামাল স্বপ্না, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ মুন্সী, সরকারী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের শিক্ষকবৃন্দসহ হাজার হাজার উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় কাওসার তালুকদারের পরিবারসহ ওই এলাকায় শিশু খালিদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চারিদিকে কান্নার রোলে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সবাই এই নির্মম হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চৌদ্দহাজারী গ্রামের একটি মৎস্য ঘের থেকে খালিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।