৬০টি বাড়ী। ৬০টি পরিবার। সরকারের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় মাথাগুঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছে ভূমিহীন মানুষকে। একটি পরিবার পাবে একটি বাড়ী। একটি বাড়ীতে রয়েছে ২টি ঘর, ১টি টয়লেট, বারান্দা, রান্না ঘর, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহসহ থাকছে বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা। এ’ছাড়া তাদের বাড়ীর ৩শত জমি তাদের নামে লেখে দেয়া হবে। ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধিনে গুচ্ছ গ্রাম ২য় পর্যায়ে(সিভিআরপি) এর অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ভূমিহীনদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ভোলাহাট উপজেলার বাইশাপুকুর ও দীঘলিপুকুরে ৬০টি পরিবারের বাড়ী নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অব্যহত আছে। তবে দীঘলিপুকুরে ২০টি বাড়ীর কাজ সম্পন্ন হলেও বাইশাপুকুরের ৪০টি বাড়ীর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। যে সব ভূমিহীন পরিবার গুচ্ছগ্রামে বাড়ী পাবেন তাদের কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নেয়া হবে না এবং বিনামূল্যে তাদের বাড়ী প্রদান করা হবে বলে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দপ্তর জানিয়েছে। এদিকে দ্রুত গুচ্ছগ্রামের ৬০টি বাড়ীর র্নিমাণ কাজ সম্পন্ন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন প্রকল্প এলাকায় দফায় দফায় গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। নির্মাণ কাজের সাথে জড়িতদের দ্রুত র্নিমাণ কাজ সম্পন্ন করতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সরজমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন প্রকল্প পরিদর্শণে গিয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সম্পন্ন স্বচ্ছতার সাথে প্রকৃত ভূমিহীন মানুষদের মাঝে যাঁচায়বাছাই করে গুচ্ছগ্রামে বাড়ী দেয়া হবে। গুচ্ছগ্রামের পরিবারগুলো শিক্ষায় অনগ্রসর তাদের শিক্ষায় অগ্রসর করার ভূমিকা থাকবে, তাদেও জন্য বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকবে বলেও জানান। তবে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ যেমন মাদক সেবন বিক্রয়, বাল্যবিবাহ, ছেলে-মেয়েদেও স্কুলে পাঠানোসহ বিভিন্ন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ করারও জোর নজরদারী থাকবে বলেন জানান তিনি। এ’ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নির্দেশক্রমে এ প্রকল্প সেহেতু অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন বুঝে নিতে প্রকল্প এলাকায় তদারকি করছেন বলে জানান। ১৭ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন প্রকল্প এলাকায় বাড়ী র্নিমাণের অগ্রগতি নিয়ে র্নিমাণ শ্রমিকদেও সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তাদের দ্রুত র্নিমাণ কাজ সম্পন্ন করতে তাগাদা দেন। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প পরিদর্শণের সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সকারী প্রকৌশলি মুনিমুল হক, দলদলী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল বারী, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুর রহমান, ৫ ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।