পাবনার সুজানগরে এ বছর চিনাবাদামের ফলন বিপর্যয় হয়েছে। সেই সঙ্গে হাট-বাজারে বাদামের দামও বেশ কম। এতে কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ভায়না, সাতবাড়ীয়া, নাজিরগঞ্জ এবং সাগরকান্দী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩‘শ ৭০হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম আবাদ করা হয়েছিল। বাদাম চাষীরা গত বছরের ন্যায় এ বছরও তাদের উৎপাদিত বাদাম বিক্রি করে সংসারে স্বচ্চলতা বয়ে আনার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উপজেলার সর্বত্র বাদামের ফলন বিপর্যয় হওয়ার তাদের সে স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেছে। উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের বাদাম চাষী মিজানুর রহমান জানান, তিনি এ বছর ৩বিঘা জমিতে বারি-৪জাতের বাদাম আবাদ করেছিলেন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন একদম ভাল হয়নি। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাদাম চাষী আবু খাঁ বলেন গত বছর প্রতিবিঘা জমিতে তার ১০ থেকে ১২মণ বাদাম হয়েছিল। কিন্তু এ বছর প্রতিবিঘা জমিতে মাত্র ৪থেকে ৫মণ বাদাম হয়েছে। তাছাড়া গত বছরের চেয়ে এ বছর বাদামের দামও কম। গত বছর এ সময় উপজেলার হাট-বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৪থেকে ৫হাজার টাকায়। কিন্তু এ বছর বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ থেকে ৪হাজার টাকায়। ফলে এ বছর বাদাম বিক্রি করে তার উৎপাদন খরচও উঠছেনা। একদিকে ফলন বিপর্র্যয় আর অন্যদিকে বাজার কমের কারণে বাদাম চাষীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে আবার আগামীবার বাদাম চাষ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।