লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পল্লী সঞ্চন ব্যাংকের মাঠকর্মী মোঃ মাসুদ আলম উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে নালিস দেওয়ায় রসুলপুর গ্রামের ফয়েজ আহমেদ নাটকীয় মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সৃষ্ট ঘটনা এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠকর্মী ও পানপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের পুত্র মাসুদ আলম পার্শ্ববর্তি রসুলপুর গ্রামের ইউসুফ পাটোয়ারীর স্ত্রী রিনা বেগমকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ২০ হাজার টাকা হাওলাত দেয়। ১৭ জুন সন্ধ্যায় মাসুদ হাওলাতি টাকা চাইতে গেলে ইউসুফের নিকট আত্মীয় ফয়েজ আহমেদ অশ্লীলভাষা গাল মন্দ করে। মাসুদ প্রতিকার চেয়ে ১৮জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রিজাউল করিমের নিকট লিখিত নালিস করে। মাসুদের স্ত্রী শাহিনুর বলেন,উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে বিকেলে বসতঘরে ফিরে পোষাক পাল্টানোর সময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে মাসুদকে আটক করে নিয়ে যায়। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ফারুক,মাহফুজসহ কয়েকজন বলেন,মাসুদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট ৩জনের নালিস করেছে এমন সংবাদ পেয়ে ফয়েজ আহমেদ মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে ম্যানেজ করে আটক করায়। আটকের পরেদিন ১৮ জুন দুপুরে ইউসুফের স্ত্রী রিনা বেগমকে প্রভাবিত করে তার শারীরিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ তুলে থানা উপস্থিত হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত ফয়েজ আহমেদ বলেন,রিনা বেগমের স্বামী ইউসুফ আমার নিকটাত্মীয় হওয়ায় মাসুদকে ডেকে ভয়ভীতি দেখিয়েছি। মাসুদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত নালিস করে অন্যায় করেছে। রসুলপুর গ্রামের মোরশেদ আলম রিনা বেগমকে দিয়ে মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিনা বেগম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তিনি বলেন,সাংবাদিকদের কিছু বলার থাকলে ফয়েজ আহমেদের সাথে বলতে। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলী বলেন,থানা মামলা দায়ের হওয়ার পর বিভিন্ন ভাবে খবর নিয়ে যা বুঝা গেছে তাতে মনে হয় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠকর্মীদে ফাঁসানো হয়েছে। মোহাম্মদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ এমদাদুল হক এমদাদ বলেন,ঘটনাটি গভীর রাতে তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না।