খুলনার পাইকগাছায় গলায় রশি দিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টার এক সপ্তাহ পর মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়-য়া আপন নামে এক পুত্র সন্তানের জননী মৃত সুষমা মন্ডল (২৫)। এবং উপজেলার লস্কর ইউপির পূর্ব খড়িয়া গ্রামের সন্নাসী সরদারের ছেলে সুব্রত সরদারের স্ত্রী। খুলনার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, পরকিয়া ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে সুষমা এক সপ্তাহ পূর্বে উপজেলার সোলাদানা ইউপির খালিয়ারচকে বাপের বাড়ীতে গলায় রশিদ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। মুর্মূর্ষ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। জানা গেছে, ১২ বছর পূর্বে উপজেলার খালিয়ারচক গ্রামের যামিনী মন্ডলের মেয়ে সুষমার সাথে পূর্ব খড়িয়া গ্রামের সুব্রত মন্ডলের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আপন নামে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়-য়া এক সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ ও পরকিয়ার অভিযোগ উঠে। যে কারণে কয়েক দফা সালিশী বৈঠকের পর সর্বশেষ এক সপ্তাহ পূর্বে সুষমার ভাই পিযুষ মন্ডল তার বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এখানে সুষমা গলায় রশিদ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সুষমার পিতা-মাতার অভিযোগ তার মেয়েকে প্রায়ই সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। যার ফলে মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। ময়না তদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যার পর স্বামীর বাড়ীতে সুষমার সৎকার হয়।