বাংলার আহমান সাংস্কৃতির প্রতিভা ফুটে উঠছে কাঠশিল্পে, যার নির্মাতা পল্লী অঞ্চলের মানুষ। গ্রামের সাদা-মাটাজীবন-যাপনে অভ্যস্ত মানুষগুলো গ্রামীণ এ শিল্পে স্বাবলম্বী হওয়ায় বর্তমানে শহর এলাকায় ও কাঠ শিল্পের প্রসার ঘটছে। উনবিংশ শতকের প্রথমদিকে আসাম ও র্বামার বনাঞ্চল, বিংশ শতকের মাঝামঝি সময়ে সুন্দরবন এবং বর্তমানে স্থানীয় বাগানের গাছের উপর নির্ভর করে এই কাঠ শিল্পের শুরু, বিকাশ ও এর ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছেন এখারকার আধিবংশধর কাঠশিল্পরা।
বিভিন্ন জাতের দেশী-বিদেশী গাছ প্রক্রিয়াজাত করে নিত্য প্রয়োজনী আসবাব পত্র তৈরী কাজে পিরোজপুরের হাজার-হাজার শ্রমজীবী নারী-পুরুষ এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে সম্পৃক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পিরোজপুরে গ্রামকে গ্রাম ঝুড়ে গঠে উঠছে কাঠ দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কারুকার্যের নকশী করা আসবাব পত্র তৈরীর প্রতিষ্ঠান-এ অঞ্চলে কাঠজাত তৈরী কৃতদ্রব্যগুলো , খেলাধূলার সমমান , ক্রিকেটব্যাট, ষ্টামপ,ব্যালচার আচারী, তাতঁ সুতা প্যাচানো ইষ্টিক, (ববিন) বিভিন্ন কাঠ খোদাই আসবাবপত্র, নকশী ড্রেসিং টেবিল, হুক্কা , বাদ্যযন্ত্রের বক্স, কাঠের কৃষিসরঞ্জমাদি, কাঠের ফুলদানী, ও ঘর সাজানোর দ্রব্যাদিসহ হাজারো কাঠের উপজাত তৈরীতে অত্যাধুনিক বিভিন্ন মেশিনারী ও যন্ত্রপাতি দ্বারা তৈরীকৃত কাঠের পণ্যগুলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে নেপাল,মায়ানমার, ও ভারতে রপ্তানিকরা হচ্ছে। পিরোজপুরের নছারাবাদ শিল্প নগরী কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, হাজার-হাজার শ্রমজীবী মানুষের এ শিল্পে স্বাবলম্বী হয়েছে।.স্বরুপকাঠি(নছারাবাদ) শিল্পনগরীর মালিক সমিতির সম্পাদক মোঃ জাকারীয় বলেন, পিরোজপুর ঝুড়ে কাঠশিল্প বিস্তার করছে, প্রায় ২০/২৫ হাজার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকার ক্ষুদ্রঋনের সহায়তা করলে এ প্রতিষ্ঠানের আরো প্রসর ঘটবে।
শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্পোদ্যোক্তাদের উন্নয়ন করা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা, সমীক্ষা এবং জরিপ কর্মসূচির মাধ্যমে এ শিল্পের আরো প্রসর ঘটানো সম্ভাব।
কুটির ও কাঠশিল্প ব্যাবসায়ীরা বলেন, কুটির শিল্পের কাঠপণ্য গুলো বিপণন করার জন্য সড়ক ব্যবস্থা উন্নাত হওয়া দরকার।