জাতীয় বাজেটে যে হারে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে তার চেয়ে অধিক দামে খুলনার পাইকগাছায় বিড়ি সিগারেট বিক্রি করা হচ্ছে। অধিক মুনাফা লাভের আশায় বিভিন্ন বিড়ি সিগারেট কোম্পানীর দায়িত্বরতরা নিজেরা অর্থায়ন করে বিপুল পরিমাণের সিগারেট ক্রয় করে ডিপো ও বাসা-বাড়িতে অথবা গোপন গুদামে মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ব্যাপক অর্থ লুটে নিচ্ছেন। বাজাটে অধিবেশনের আগে থেকে গোপনে মজুদ করতে থাকে সিগারেট কোম্পানীর দায়িত্বরতরা। দাম বৃদ্ধি পেতে পারে সংসদে বাজেট পেশ হওয়ার পর কোম্পনীগুলোও ইতোমধ্যে বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেটের পূণঃমূল্য নির্ধারণ করে বাজারজাত করছে। তবে প্রায় প্রতিটি বিড়ি সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে পূর্ব নির্ধারিত মূল্য দেয়া রয়েছে।
কন্জুমারদের প্রশ্ন, সরকার সিগারটের উপর শুল্ক বৃদ্ধির পর কোম্পাণীগুলো সিগারেটের নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করলে নিশ্চই তা নতুন প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকত। কোম্পানীগুলো বাজারে অধিক দামে সিগারেট বিক্রি করলেও সরকার কি অতিরিক্ত শুল্ক পাচ্ছে? না পেলে সাধারণ ক্রেতার অতিরিক্ত অর্থ যাচ্ছে কোথায়? বাজেট অধিবেশনকে সামনে রেখে কোম্পানীর পাশাপাশি লাভবান হচ্ছে মজুদদাররা। এলাকাবাসীর দাবি, ভোক্তা অধিকার আইনে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
অভিযোগে জানা যায়, নেভি ও শেখ সিগারেট কোম্পানীর কর্মকর্তারা পাইকগাছার ডিপোতে ১ জুন থেকে মজুদ রেখে বাজারে সঙ্কট দেখিয়ে চড়াদামে বিক্রি করছে। নেভি সিগারেটের লেবেলে খুচরা মূল্য ৪৮ টাকা লেখা থাকলেও কোম্পানীর কর্মকর্তারা ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা বিক্রি করছে। শেখ সিগারেটের লেবেলে খুচরা মূল্য ৩৬ টাকা লেখা থাকলেও কোম্পানীর কর্মকর্তারা ৪২ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বিক্রি করছে। এ কর্মকান্ড থেকে পিছেয়ে নেই স্থানীয় বাজারে বিড়ি কোম্পানীর দায়িত্বরতরা। বাজারের পান, সিগারেট ও চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন দোকানে ব্যবসায়ীরা এক শলা নেভি সিগারেট ৬ টাকা ও এক শলা শেখ সিগারেট ৫টাকা ধুমপায়ীদের কাছে বিক্রি করা নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে ঝগড়া ও বাক-বিতন্ডা। লেবেলের গায়ে কম লেখা থাকলেও কেনো এত চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ নিয়ে ধুমপায়ীদের সাথে চলে বাক-বিতন্ডা ঝগড়া।
এ প্রসঙ্গে কোম্পানীর পাইকগাছা ডিপো অফিসের টেরিটরি অফিসার আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তোর না দিতে পারলেও বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দোহায় দেন।
পৌর সদর ও বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী এফএনএসকে জানান, অধিক দামের বিষয় জানতে চাইলে কোম্পানীর লোকজন তাদের কাছে বিড়ি সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। পাইকগাছা বাজারের চায়ের দোকানদার ব্রজেন মন্ডল, স্বপন সাধু, কাসেদ, আলাউদ্দীন এফএনএসকে জানান, কোম্পানীর লোকজনের কাছে লেবেলের গায়ে লেখা থেকেও বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে আমাদের কাছে সিগারেট বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে।