কুড়িগ্রামের জেলা পরিষদের মালিকানাধীন লটভুক্ত গাছের সাথে ১টি প্রকান্ড মেহগুনি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুলকালাম উঠেছে। এদিকে অভিযোগ দেওয়া হলেও তা আমলে নিচ্ছেনা পুলিশ। জানাগেছে, জেলা পরিষদের টেন্ডারে প্রাপ্ত শারমীন সুলতানার পিতা আবদুস সালাম মাষ্টার এজন্য দায়ী।এ ব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে ৩ জন কে অভিযুক্ত করে রাজিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ গাছটি উদ্ধার করে রাজিবপুর থানা হেফাজতে রেখেছেন। তবে থানা পুলিশ এখনও মামলা রেকর্ড করেনি। অভিযোগে জানা গেছে, গত ৯ জুন দাখিলকৃত দর বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাজিবপুর উপজেলার নাব্বার ওয়ান ইট ভাটার সামনে থেকে ফায়ার সাাির্ভস এর সামন পর্যন্ত ১০০টি গাছ গত ১২ জুন কুড়িগ্রাম জেলা মূল্যায়ন কমিটি ৫ লক্ষ ৭১ হাজার টাকায় ভ্যাটসহ সব্বোর্চ মূল্য হওয়ার রাজিবপুর উপজেলার আবদুস সালাম ও জেলা পরিষদ সদস্য রাজিয়া সুলতানা রেনুর কলেজ পড়-য়া কন্যা শারমিন সুলতানা (২০)নামে মুঞ্জুর করা হয়। ১৫ জুন গাছ বুঝে নিয়ে তা কাঁটা শুরু করেন। ১৮ জুন লটের গাছের সাথে মিলিয়ে মরহুম ডাক্তার নূরুল ইসলাম খোকন সাহেবের পুকুর পাড় থেকে দেড় লক্ষাধিক মুল্যের একটি মেহগুনি গাছ কেটে ফেলে। এলাকাবাসী বিষয়টি সাংবাদিক ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবগত করেন। বিষয়টি সর্বসাধারনের নজরে আসলে, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রাজিবপুর উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আশর্ফাুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে শারমীন সুলতানা,পিতা আবদুস সালাম ও মাতা রাজিয়া সুলতানা রেনুর নামে রাজিবপুর থানায অভিযোগ করেন। এ ব্যাাপারে অভিযুক্ত আবদুস সালাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে, সত্যতা স্বীকার করে বলেন, করাতীরা ভুলে গাছটি কর্তন করেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদ সহকারি প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু ু কোন অভিযোগ পাইনি। তবে দোষী হলে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কথা হলে জানান,আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও করেছি। জেলা পরিষদ কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। তাদের নির্দেশ মতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এলাকাবাসী এ নিয়ে তুলকালাম শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ রাজিয়া সুলতানা রেনূ জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ায় গোপনে কমরেটে তার কলেজ পড়-য়া কন্যার নামে গাছ ইজারা নিয়েছেন। আবার সুযোগ বুঝে বেশি করে গাছ কেটে নিচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত?