ট্রলার ডুবির ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামের দরিদ্র রিকশা চালক আওলাদ হোসেনের মেয়ে ছনিয়া আক্তারের পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাঘাইকান্দি কলিমউল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের ৯৯’র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২জুন) সকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১০সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আঁধার মানিক গ্রামে ছনিয়াদের বাড়ীতে যায়। এ সময় তারা ছনিয়ার বাবা-মার সাথে কথা বলে বাঘাইকান্দি কলিম উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের ৯৯’র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের হাতে নগদ ৫০,০০০ ( পঞ্চাশ হাজার) টাকা তুলে দেন। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ছনিয়ার মা মর্জিনা বেগম।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ছনিয়ার বাবা আওলাদ হোসেন জানান, টাকার অভাবে ঠিকমতো মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি তিনি। নিজের সীমিত সমর্থ ও এলাকাবাসীর অনুদানের টাকায় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন চিকিৎসা করিয়ে মেয়েকে সুস্থ করতে। অভাবের সংসারে ৩ মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ছনিয়া ছিল সবার বড়। শিক্ষক হবার স্বপ্ন নিয়ে বড় হওয়া ছনিয়া উচ্চমাধ্যমিকপাশ করে চেয়েছিল চাকুরি নিয়ে পরিবারের হাল ধরতে।
প্রতিনিধি দলের সদস্য রমজান আলী জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ছনিয়ার পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন তারা। নিজেদের সমর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করছেন দরিদ্র পরিবারটির হাতে কিছু তুলে দিতে। ছনিয়ার ছোট বোন সাদিয়া বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী দরিদ্র এই পরিবারটিকে যাতে পথে বসতে না হয় সেজন্য সাদিয়াকে একটি চাকুরির ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ, গত ৩০মে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ সদরে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে যাবার পথে ট্রলার ডুবির ঘটনায় গুরতরভাবে আহত হয় ইমামপুর ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছনিয়া আক্তার (২১)। আহত হয়ে টানা ৭দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৬এপ্রিল রাতে মারা যায় সে।