ঝালকাঠির বাউকাঠি বিন্দুবাসিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের আদেশ অমান্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে ৪ মাস ধরে। কয়েক মাস যাবত বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। ইতোপূর্বে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনের কমিটির করা সাময়িক বরখাস্ত আদেশ সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করলে ওই আদেশ পেয়ে প্রধান শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৭ মে বরখাস্তাদেশ প্রতাহার ও বকেয়া ভাতাদির সরকারি অংশ পরিশোধ সংক্রান্ত এক পত্র ইস্যু করেন এবং বকেয়া বেতন ভাতাদি প্রদানের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন কারিকর সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশ এবং মাউশির মহাপরিচালকের আদেশ মানছেন না। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে তার বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার ও বেতন ভাতা উত্তোলনের জন্য সভাপতি বরাবর গত ৩০ মে লিখিত আবেদন করলেও দায়িত্ব বুঝে পাচ্ছেননা প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। কমিটি গঠন নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েন। ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি।
বিদ্যালয়ের সিনিয়ার শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র রুদ্র জানান, আদালতের আদেশে দেলোয়ার হোসেন বৈধ প্রধান শিক্ষক। তিনি এসে দায়িত্ব নিলেই হয়। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া ম্যানেজিং কমিটির কাজ। বেতন বিলে স্বাক্ষর না হওয়ার সকল শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি বেতন বিলে স্বাক্ষর করলে সভাপতি স্বাক্ষর করবেননা বলে জানিয়ে দেন। যে কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা র্মাচ মাস থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছেননা। এ বিষয় জানার জন্য স্কুল কমিটির সভাপতি মো: সোহরাব হোসেসেনের ব্যক্তিগত মুঠো ফোনে (০১৭১১৫৪৪৫৫২) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।