লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পৈত্রিক জমি বন্ঠনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ৯জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হামলার শিকার ওই পরিবারের পক্ষে উকিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে ২৩জনকে আসামী করে আদালতে মামলা একটি দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৩ সালে আদিতমারী উপজেলার নামুড়ী এলাকার মৃত সহির উদ্দিনের ছেলে উকিল উদ্দিন গং-এর সাথে ওই এলাকার মৃত পয়ের উদ্দিনের ছেলে বিবাদী নবীর উদ্দিন গং-এর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলাটি দীর্ঘ সময় বিচারাধীণ অন্তে উকিল উদ্দিন গং চলতি বছরের ৩০এপ্রিল এক তরফা রায় পায়। আদালতের রায় অনুযায়ি প্রতিপক্ষকে জমি বন্টন করে দেয়ার জন্য উকিল উদ্দিন গং আহ্বান জানালে এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত বুধবার দুপক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে নবীর উদ্দিন গং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালালে উকিল উদ্দিন ও ওই এলাকার মৃত পয়ের উদ্দিনের পাঁচ ছেলেসহ ৯জন গুরুত্বর আহত হয়।
এ ঘটনায় সোমবার ২৩ জনকে আসামী করে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বর্তমানে আসামীরা বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে হামলার শিকার সেলোমন মিয়া বলেন, ‘‘আদালতের রায়ের কাগজ নিয়ে আমি জমি ভাগ বন্টন করে চাইলে নবীর হোসেন ও খয়ের উদ্দিনের ছেলে ছকমল এবং বকুল(৪৩) বাড়ি থেকে চাপাতি ও ছোড়া বের করে আমার মাথায় চোট মারে। এসময় আমি বাম হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে হাত কেটে যায় ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়। বর্তমানে মাথায় ১০টি সেলাই নিয়ে আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমি এই হামলার ন্যায্য বিচার চাই”।
মামলার বাদি উকিল উদ্দিন জানান, ঘটনার সময় তিনি এগিয়ে গেলে আজিজুলের ছেলে বিবাদী রিপন মিয়া তার বুকের ওপর ওঠে গলা চিপে ধরে এবং অন্যান্য বিবাদীরা লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এসময় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এগিয়ে আসলে তারাও হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি উকিল উদ্দিনের।
এ ঘটনায় বিবাদী নবীর উদ্দিনসহ অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বাড়িতে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে আদালত কর্তৃক মামলার নথি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীণ রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।