গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নারী ও শিশুদের কল্যাণে ‘যতœ প্রকল্পে’ নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
প্রকাশ বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় উত্তরাঞ্চলের ৭টি জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহ ৪৩টি উপজেলার ৪শ’ ৪৪টি ইউনিয়নে এই প্রকল্পের আওতায় ৬ লক্ষ উপকারভোগী পরিবার উপকৃত হবে। এরই প্রেক্ষিতে ‘যতœ প্রকল্পে’র উপকারভোগী পরিবারকে এনএইচডি বা বিকল্প উৎস হতে চিহ্নিত নির্দিষ্ট দারিদ্রসীমার আওতায় অন্তর্ভুক্তি হবেন। যে পরিবারে গর্ভবতী নারী শুন্য থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশু অথবা ২-৪ বছর বয়সী শিশু রয়েছেন তারাই হবেন এই যতœ প্রকল্পের উপকারভোগী। উপকারভোগী গর্ভবতীদের জন্য চার বার চেক-আপের জন্য চার হাজার টাকা পাবেন। শিশু জন্ম নেওয়ার ২৪ মাস পর্যন্ত মাসিক মনোদৈহিক সেশনে অংশ নিয়ে মা ও শিশু এক হাজার চারশ’টাকা পাবেন। টানা তিন মাস সেশনে উপস্থিত থাকলে মা বোনাস ভাতাও পাবেন।
এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ২৩ হাজার ৫ শ ৪৩ টি অতদরিদ্র পরিবার এ সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এসব সুযোগ-সুবিধার কারনেই যেন হুমরি খেয়ে পরেছেন গর্ভবতী মা ও শিশু’র অবিভাবকগণ। আর এই সুযোগে জনপ্রতিনিধিরা (চেয়ারম্যান/মেম্বার) গন অর্থের বিনিময়ে উপকারভোগী নির্বাচন করছেন বলে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নেই কম বেশী অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান এবং মেম্বর ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজসে অর্থের বিনিময়ে সুবিধাভোগীর জন্ম নিবন্ধন কার্ড, টিকার কার্ড, বাবা-মার আইডি কার্ড ও নমিনী-বাবা-মায়ের আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা নিচ্ছেন। অনেক দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় টাকা না দিলে তালিকায় নাম উঠবেনা।
উল্লেখ্য সম্প্রতি কিছু কিছু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান/মেম্বররা অপকর্ম ঢাকতে ক্ষেত্র বিশেষে মাইকিং ও ঢোল সহরতের মাধ্যমে প্রচারও চালিয়েছেন। যেখানে সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম উঠাতে কারো সাথে অর্থের লেনদেন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় অনেকের নিকট থেকে অর্থের লেনদেন প্রায় শেষ হয়েছে বলে সচেতন মহল দাবি করছে। তারা দরিদ্য জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে তালিকার সব নামই যেন ঘুষ দিতে না হয় এজন্য প্রয়োজনীয় গোপন তদন্তসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।