পটুয়াখালীর বাউফলে বিরোধ পূর্ণজমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্তও উদ্ধার হয়নি পুলিশের শরীরর থেকে খুলে নেওয়া পোষাক। গত ২৪ জুন সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউপি’র বড়ডালিমা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামের হাকিম হাওলাদার গংদের সাথে একই বাড়ির কামাল হোসেন গংদের ১৯ একর ৫৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালে ওই বিরোধীয় জমিতে কামাল হোসেন গংরা প্রায় ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে গেলে হাকিম হাওলাদার গংরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে বাউফল থানা থেকে তিনজন পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কামাল হোসেনের পক্ষের লোকজন পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাউফল থানার এএসআই মাঈনুদ্দিন এর কোমর থেকে ১০ রাউন্ড গুলি সহ ৭.৬২ এমএম পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কং নং ৬৪২ শ্রী লক্ষণ এর শরীর থেকে পোষাক খুলে নেয়। এসংবাদ পেয়ে বাউফল থানা থেকে পুনরায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশদের উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে প্রায় চারঘন্টা অভিযানের পরে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম ফারুক ও কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ এর সহায়তায় বাউফল থানা পুলিশ ঐ গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ঘরের পিছনের একটি নারিকেল গাছ থেকে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় লুণ্ঠিত পিস্তলটি উদ্ধার করে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের ১৮জন আহত হয়। এ ঘটনায় বাউফল থানায় ২৬ জনকে আসামি করে ১৪৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৩৯৪ ও ৩৪ ধারায় মামলা নং ৩২, তাং ২৪/০৬/২০১৯ দায়ের করা হয়। এ মামলায় আলম, দুলাল, নাজমাসহ ০৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান আসামি ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়নি। বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান বাকী আসামীদের গ্রেফতার করাসহ ছিনতাইকৃত পুলিশের পোষাক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।