বাগেরহাট চিংড়ি গবেষেণা কেন্দ্রের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০১৮-১৯) ও গবেষনা পরিকল্পনা প্রণয়ন (২০১৯-২০) সংক্রান্ত গবেষণার অগ্রগতি ও গবেষেণা পরিকল্পনা প্রনয়ণ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা বৃহস্পতিবার সকালে গবেষণা কেন্দ্রের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রাক্তন পরিচলাক ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষেণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের ফিসারিজ এ- মেরিন রিসার্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. গ্উাসিয়াতুর রেজা বানু, খুলনা বিভাগীয় মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রীতিষ কুমার মল্লিক, খুলনা লোনাপানি কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
আঞ্চলিক কর্মশালায় বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের বার্ষিক গবেষণার অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয় এবং আগামি বছরের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
কর্মশালা থেকে জানানো হয়, বর্তমানে এই চিংড়ি গবেষণাগারে চিংড়ির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, চিংড়ির খাদ্য ও পুষ্টিমান, চিংড়ির গুণগত মান উন্নয়ন এবং মাটি ও পানির গুণাগুণ বিষয়ক গবেষণা চলমান রয়েছে।চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণাকে শুধু চিংড়ির উপর সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। চিংড়ির পাশাপাশি অন্যান্য মাছের উপরও গবেষণা করতে হবে। এ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিংড়ি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রোগ নির্নয়ের উপর কাজ করছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগ নির্নয় ও নতুন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে সফলতাও পেয়েছে গবেষণা কেন্দ্রটি। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা রক্ষার আহবান জানান বক্তারা।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় খুলনা ও বাগেরহাট জেলার মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, চিংড়ি চাষী, আড়ৎদার (চিংড়ি ব্যবসায়ী), চিংড়ির খাদ্য ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।