কথায় আছে সরকারী মাল-দড়িয়ায় ঢাল। ৭ বছর পূর্বে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গেরামারা গ্রামে প্যাকেজ প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির তত্বাবধানে ব্রীজ ও রাস্তা নির্মিত হলেও পরবর্তীতে এই প্রকল্পের উপর কোন নজর রাখেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে ব্রীজ ও রাস্তা এখন প্রায় দড়িয়ায় চলে যাওয়ার উপক্রম। চলছে বর্ষা মৌসুম কিছু দিন পরে সেটি আরো জোড়দার হলে নির্মিত রাস্তা ও ব্রীজ রক্ষনা বেক্ষন করতে না পারার কারণে বিষয়টি জনদূর্ভোগে পরিনত হবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাবাসীর সূত্রে, যতই দিন গড়াচ্ছে ততই ব্রীজের নিচের দুই পাশের গাইড ওয়াল ছিদ্র হয়ে বালু-মাটি চলে যাচ্ছে খালে। ব্রীজের দুই পাশেই বড় বড় গর্ত হয়ে পিচ ঢালা রাস্তা ধ্বসে গভীর খালে চলে যাচ্ছে। ফলে ঝুকিপূর্ন অবস্থায় নির্মিত ব্রীজ ও রাস্তা ধ্বংসের দাড়প্রান্তে দাড়িয়েছে। এই রাস্তাটি মহাসড়ক তালতলা বাজার হয়ে গোরামারা এরপর দুগংগাড় পাড় বাজার পর্যন্ত পিচঢালা নির্মিত রাস্তা। এই রাস্তাটির পিচ উঠে গেছে এবং দুপাশের মাটিও প্রায় জায়গা থেকে সড়ে গেছে। রাস্তার মাঝে মাঝে থাকা পুকুরের পাড় গাউড ওয়াল ভেঙ্গে রাস্তার অর্ধেক অংশ ধ্বসে পুকরে চলে যাচ্ছে। ফলে কর্তৃপক্ষ এদিকে কোন সংস্কার মুলক কাজে হাত না দেওয়ায় ব্রীজ ও রাস্তা ধ্বংসের কারণে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচরিত হলেও তার কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন (৬৫) বলেন, এত টাকা দিয়ে ঐ সময় এই রাস্তা ও ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের কোন খোঁজ না নেওয়ার কারণে এগুলি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এগুলি সংস্কার করা না হলে এটি জন দূভোর্গে পরিনত হবে।
এলাকাবাসী তফিজ উদ্দিন (৭০), বাজিত মিয়া (৩০), রফিকুল ইসলাম (৩০) বলেন, নিচ দিয়ে বালুমাটি চলে যাচ্ছে খালে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতিতে পড়তে যাচ্ছে এলাকার মানুষ। ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে ব্রীজ ও রাস্তা। অতিদ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সরকারের কোটি টাকার প্রকল্প চলে যাবে জলে। নির্মিত রাস্তা ও ব্রীজ পেয়েও সরকারী তদারকি ও রক্ষানা বেক্ষনের কারণে অতিদ্রুত ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প চলে যাচ্ছে জলে। আমাদের জন্য দুভার্গ্য।
উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমি দেখে এসেছি। উপজেলা পরিষদ থেকে যদি কিছু করা যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, আমরা পরির্দশনে গিয়েছিলাম। এটি কাজ হবে। এডিপির অর্থায়নে এটির কাজ শুরু করা হবে।