নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চিলাদী গ্রামের ফুটবল খেলায় অংশ নিতে না দেওয়া কে কেন্দ্র করে চিলাদী পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০জন যুবক আহত হয়। ওই হামলা,ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৮জুন) বিকেলে।খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে চিলাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চিলাদী পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার জুনিয়র ও সিনিয়র গ্রুপের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের খেলা চলার মধ্যেই ছাতারপাইয়া গ্রামের মন্দার কান্দির মৃত আবদুল জলিলের পুত্র বখাটে সুজন এসে তাকে খেলায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের চাপ দিতে থাকে। এই নিয়ে খেলোড়ায় ও কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় খেলার দায়িত্বে থাকা লোকজন তাকে বার বার বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। একপর্যায়ে সুজন গোলবার তুলে ফেলে। এই নিয়ে তাদের উভয়য়ের মধ্যে কথাকাটিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে উপস্থিত লোকজন তাদের শান্ত করে। পরবর্তীতে সুজনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন যুবক চিলাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে এসেই অর্তর্কিত কমান্ড ষ্টাইলে এসে স্থানীয় মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা শুরু করে এতে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মুসল্লীরা হঠাৎ দৃশ্য দেখে দ্রুত প্রান ভয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রায় নেয়। এ সময় মসজিদের বৈদুতিক ছিড়ে পেলে। একই সময়ে সন্ত্রাসী বাহিনী বিদ্যালয়ে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে বেলাল স্টোর, জুই টেলিকম, কবির ষ্টোর, মাসুদ ফার্মেসী, কাঁচা মালের দোকানে হামলা ভাংচুর লুটপাট, আশ্রাফ আলীর নতুন বাড়ীতে মহিন উদ্দিনের ও চিরাম বাড়ীর ইসলামের বসত ঘরে হামলা ভাংচুর করে। তাদের হামলায় বাদ পড়েনি বিদ্যুৎ মিটার, ও অসহায় প্রানী গরু টিও।
এসময় তাদের হামলায় এলাকার মহিন উদ্দিন, রায়হান, ইমরান, সহিদ সহ ১০জন আহত হয়। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এ এস আই সমর বড়-য়া ঘটনার স্থলে আসার আগেই হামলা কারীরা পুলিশের আসরার খবর পেয়ে পলিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র স্থানীয় লোকজন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও পুলিশ এটা অস্বীকার করেন।
এঘটনায় এলাকাবাসী এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে চিলাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবাদ সভায় করে। এতে মাষ্টার আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন-ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ওযার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলেমান মজুমদার, সেক্রেটারী আবদুর রহিম, ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারী আবুল হোসেন কিরিজি মোল্লা বক্তব্য রাখেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পায় নি পেলে আইন অনুসারেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাা নেয়া হবে।