লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দাসপাড়া কুইয়ার বাড়ির সামনে ওয়াবদা খালের উপর নির্মানাধীন ফাটল ব্রিজের বিল উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার,উপ সহকারী প্রকৌশলীর সাথে গোপন চুক্তিতে রোববার সকালে হিসাব রক্ষকের কার্যালয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিল নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদার সহ সর্ব মহলে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সুত্রে জানায়,ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩২ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্ধ হওয়ায় ব্রিজটি নির্মান শেষ না হতেই ফাটল ধরে। এনিয়ে ২৬ জুন কয়েকটি জাতীয় দৈনিক এবং ২৭ জুন বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে প্রচারিত হলে সংশ্লিষ্টদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন,উপ সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানা জাফলং এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধীকারী মোঃ সেলিম হোসেনের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিল প্রদান করে। উপজেলা হিসাব রক্ষক অফিসের অডিটর মোঃ রুহুল আমিন বলেন,মান-সম্মত ভাবে ব্রিজ নির্মান করা হয়ে মর্মে ব্রিজ নির্মানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়পত্র দিয়েছে। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র থাকায় বিলটি হিসাব রক্ষকের টেবিলে পাঠালে তিনি ২৪ লক্ষ ৩০ হাজার ২শত ২৯ টাকার বিল ছাড় দেন। বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জাফ লং এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধীকারী মোঃ সেলিম হোসেনকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার) মোশাররফ হোসেন বলেন,জুন ক্লোজিং এর কারণে বিলটি উত্তোলন করে পে-র্অডার করে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ করার পরেই টাকা প্রদান করা হবে।